আর এইচ শাহিন ॥ বরবটি চাষে দিন ফিরেছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সফল কৃষক গিয়াস উদ্দিনের। তিনি এখন শায়েস্তাগঞ্জের সেরা কৃষকদের একজন হয়ে উঠেছেন। কৃষক গিয়াসউদ্দিন উপজেলার জগতপুরের মোছলেম উদ্দিনের ছেলে। তার এক ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে। প্রথম অবস্থায় তিনি দেশ পাড়ি দিয়ে প্রবাসে পাড়ি জমান,প্রবাসে সুবিধা করতে না পেরে তিনি আবার দেশে আসেন। দেশে এসে তিনি শুরু করেন বিভিন্নরকম কৃষি কাজ। এরপরে আর পেছনে থাকাতে হয়নি গিয়াসউদ্দিনের। কৃষক গিয়াসউদ্দিনকে এখন অনেকেই চেনে জানে, তাকে অনুকরণ ও করে। জানা যায়, তার নিজের জমি না থাকায় বর্গাজমিতে কৃষি কাজ শুরু করছিলেন। কৃষি কাজ করেই ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছেন, দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। গিয়াসউদ্দিনের জমিতে বরবটি, টমেটো, লাউ, বেগুন, করল্লা, শসা চাষ করছেন । কৃষি কাজ করেই তিনি বাড়িতে পাকা ঘর বানিয়েছেন। তার এ সাফল্যের ছোয়া লেগেছে অন্যান্য কৃষকদের মাঝে, তার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে অনেকেই এখন কৃষি কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ বছর তিনি ৪৫ শতক জায়গায় বরবটি চাষ করেছেন। বেশ ভাল ফলন হয়েছে, বরবটি চাষে তার খরচ হয়েছে ১০-১২ হাজার টাকা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তার বিক্রি আসবে ৭০-৮০ হাজার টাকা। জগতপুরের কৃষক গিয়াসউদ্দিনের কৃষিই একমাত্র পেশা ও নেশা। কৃষক গিয়াসউদ্দিন বলেন আমি সম্পুর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষ করে থাকি, তাই আমার জমির ফসলে মানুষ স্বাদ পায় বেশি। আমাকে সবসময় বীজ, সার ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন কৃষি অফিসের লোকজন। আমার কাছে যে কেউ আসলে আমি তাদেরকে সুপরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করি। বর্তমানে কৃষি কাজ করেই আমার সংসার চলে। এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুজ্জামান আল রিয়াদ বলেন বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে সফল কৃষক গিয়াসউদ্দিন। এক সময় সংসার চলতো টানাপোড়নে এখন তিনি স্বালম্বী। কৃষক কাজে বদলে দিয়েছে তার জীবন। সফল কৃষক হিসেবে তিনি পুরো উপজেলায় পরিচিত। অনেক যুবকের অনুপ্রেরনা গিয়াসউদ্দিন। এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর জাগো নিউজ কে বলেন গিয়াসউদ্দিন উপজেলার সেরা কৃষকদের একজন। কৃষি অধিদফতর সব সময় উনাকে সহযোগীতা করে আসছে। বিভিন্ন সময় কৃষি অফিস থেকে বীজ ও খরচ বরাদ্ধ দেয়া হয়। উনাকে দেখে অনেকেই এখন বিভিন্ন সবজি চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছে।