স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে পৃথক স্থানে গলায় ফাঁস দিয়ে ২ জন আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে হারপিক পান করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন একজন। জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের নজির মিয়া( ৭০) গলায় রশি দিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সে ওই গ্রামের মৃত লালু মিয়ার পুত্র। শুক্রবার দুপুরে বাড়ীর লোকজন বাড়ির আঙ্গিনায় একটি আম গাছের সাথে নজির মিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক এসআই লুৎফর রহমান ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। অপর দিকে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্ধা গ্রামের আব্দুল খালিক (৩০) নামে এক যুবক গলায় ওরনা পেছিয়ে আত্মহতা করেছে। সে ওই গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। গতকাল শুক্রবার ভোরে গ্রামবাসী বাড়ীর পার্শ্বে আম গাছের সাথে গলায় ওরনা পেছানো অবস্থায় আব্দুল খালিককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে নবীগঞ্জ থানার পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। এদিকে উপজেলার ইনাতগঞ্জে হারপিক পান করে আলী হাসান(১৮) নামে এক যুবক অসুস্থ্য হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আলী হাসান ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কইখাই গ্রামের মৃত আলতাব আলীর ছেলে। জানা যায়, আলী হাসান গত বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের লোকজনের অগোচরে নিজ ঘরে হারপিক পান করে। অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের লোকজন নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডালিম আহমেদ বিষয়গুলির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।