জুয়েল চৌধুরী ॥ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে হবিগঞ্জে লকডাউনের ৭ম দিনেও অব্যাহত রয়েছে টহল এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কার্যক্রম। লকডাউনের ৭ম দিনে ০৭টি মোবাইল কোর্টে ৪৭ ব্যক্তিকে ৩৪,৩০০ টাকা অর্থদ- প্রদান করা হয়। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জেলার ৯টি উপজেলাতেই একযোগে এসব অভিযান পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নবীগঞ্জে- সারাদেশের ন্যায় নবীগঞ্জে লকডাউনের ৭ম দিনে দিনে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাস্ক পরিধান না করায় এবং সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করার দায়ে ৪টি মামলা ও ১৩ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার সকালে নবীগঞ্জ উপজেলা সদরে শেরপুর রোড, ওসমানী রোড, মধ্যবাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভি ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ। অভিযানে সহযোগীতা করেন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন শিহাবুজ্জামান শিহাবসহ একদল সেনা। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে জরুরী পণ্যর দোকান পাঠ খোলার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু লোকজন স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে বেশি সংখ্যক লোকজন এক সাথে কেনাকাটা করতে আসেন । দোকান গুলোতে ভীড় জমান। এদের অনেকেরই নেই মাস্ক। লকডাউনের ৭ম দিন বুধবার সকালে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখার দায়ে ও স্বাস্থ্য বিধি অমান্যকারি ব্যক্তিকে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন অনুযায়ী মোট ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ৪ টি মামলা দেয়া হয়েছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশ জানান। এ অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে। অপর দিকে লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে থানা অফিসার ইনর্চাজ মোঃ ডালিম আহমদের নেতৃত্বে পুলিশও মাঠে রয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত কয়েকটি টমটম গাড়ী আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের কটোর অবস্থানে নবীগঞ্জ শহরের বেশীর ভাগ দোকানপাট বন্ধ হয়েছে।