সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দিতে বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষনের শিকার আপন বোন! ধর্ষনের আলামত সহকারে আদালতে হাজির হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল হবিগঞ্জে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেেিত জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ৯নং বাউশা ইউনিয়নের বাউশা গ্রামের মৃত উকিল আলীর কন্যা স্বামী পরিত্যক্তা মনি বেগম (৩০)। সে তার বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। এর মধ্যে পূর্ব পরিচিত আউশকান্দি ইউনিয়নের আমকোনা গ্রামের মৃত মছলুন রহমান সরদারের পুত্র মুরাদ সরদার (৩৫) ও লামরু গ্রামের নুর মিয়ার পুত্র শাহিন মিয়া (৩২) এর সাথে পূর্ব পরিচিত হওয়ার কারণে প্রায়ই মনিকে দেখে তারা উক্তাক্ত করতো। এমন কি একা পেলে কু-প্রস্তাব ও দিত এবং কিছুদিন পূর্বে আসামীরা তার বাড়িতে এসে তার হাতে ধরে ফেলে। এতে মনি উত্তেজিত হয়ে চড় তাপ্পড় দিলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মজা দেখাবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে মনি তার বোনের বাড়ি আউশকান্দিতে বেড়াতে আসে। গত ২১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত অনুমান ৩টার সময় প্র¯্রাব করার জন্য বাহির হওয়া মাত্রই মুরাদ ও শাহিন তাকে ঝাপটা মেরে ধরে কাপড় দিয়ে মূখ বন্ধ করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন মিলে মনিকে উটাইয়া বাড়ির পূর্বদিকের পুকুর পারের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে মাঠিতে ফেলে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ সময় মনি শোর চিৎকার করলে অজ্ঞাতনামা আরেকজন তার মূখে চেপে ধরে। মনি অনেকক্ষণ সময় বাহির থেকে না আসায় বোন শিরি বেগম ঘর থেকে বাহির হয়ে বোনকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে মনির বোনকে বাহির আসার কারনে শাহিন বেধরক মারপিট করে। এ সময় মনি ও শিরি বেগম তারা দুই বোন চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ঘুম ভেঙ্গে ছুটে আসলে ধর্ষনকারীরা পালিয়ে যায়। পরদিন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে মনিকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে বিভিন্ন টেষ্ট শেষে গত ২৩ সেপ্টেম্বর মুরাদ ও শাহিনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল হবিগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে ধর্ষীতা মনি।