জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী পইল ও মিরপুর মাছের মেলা, ও মুড়ারবন্দ মাজারে ওরস হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতি বাড়তে থাকায় সরকার বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করে। এ উপলক্ষে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ৩ দিনব্যাপী চুনারুঘাটের মুড়ারবন্দে পবিত্র ওরশ মোবারক ও মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এবার দোকানপাট বসছে না এবং মেলাও হচ্ছে না। এ ছাড়া ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি মিরপুর চৌমুহনীতে মাছের মেলা ও পইল নতুন বাজারে ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা বসছে না বলে প্রশাসন জানিয়েছে। তবে মিরপুর মাছের মেলা না বসলেও আংশিকভাবে ১৩, ১৪ জানুয়ারি স্বাভাবিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাছ বেচাকেনা হবে বলে আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মুড়ারবন্দ মাজারের ওরস সরেজমিন পরিদর্শন করে এমন বন্ধের নির্দেশ দেন ইউএনও সিদ্ধান্ত ভৌমিক এবং ওসি আলী আশরাফ। তবে যেহেতু করোনা ভাইরাস এবং ওমিক্রণ বাড়ছে এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভক্তবৃন্দ মাজারে এসে জিয়ারত করতে পারবেন। অপরদিকে আগামী ১৪ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নের নতুন বাজারে এবার হচ্ছেচ না ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা। জেলা প্রশাসন থেকে মেলা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঈনুল হক আরিফ। তাছাড়া মিরপুর মাছের মেলা হবে না বলে জানিয়েছেন বাহুবল উপজেলার ইউএনও। অন্যদিকে বাজার কমিটির পরিচালক মোঃ ফুল মিয়া জানান, প্রশাসনের নির্দেশে এবং করোনা ভাইরাসের কারণে মাছের মেলা হবে না বাজার হবে। এদিকে মুড়ারবন্দ দরগাহ শরীফের প্রধান মোতাওয়াল্লী সৈয়দ সফিক আহমেদ চিশতী বলেন, “করোনা সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সরকার জনসমাগম এড়াতে ১৩ জানুয়ারী থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। সে অনুযায়ী প্রশাসনের এমন কার্যক্রমকে আমরা স্বাগত জানাই। এখানে দোকানপাট বসবে না ও গানবাজনা হবে না।” তবে কমিটির লোকজন জানিয়েছেন মেলার আয়োজন করে অনেক লোকজনকে দাওয়াতও দেয়া হয়েছে এবং মাজার ও বাজারের আশেপাশে দোকান সাজানোর প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু এমন নির্দেশনা আসায় তাদের অনেক টাকার লোকসান হবে।