সংবাদদাতা : নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যসমত (লামলীর পাড়) গ্রামে টাকা দেয়ার জেরে দুই ভাই ও তাদের ছেলে/মেয়েদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন দুই জন। আহতরা হলেন, ছুরুক মিয়ার স্ত্রী হাছিনা বেগম (৩৮), ও খালেদ মিয়ার স্ত্রী হেপি বেগম (৩০)। আহত হাছিনা বেগম ও হেপি বেগম কে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। আশঙ্কা জনক হওয়ায় হাছিনা বেগম কে সিলেট এম এ জি উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে তাদের এই সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধো মৃত সুলেমান আলী'র চার পুত্র হারুন মিয়া ও ছুরুক মিয়া, খালেদ মিয়া, ফারুক মিয়া মধ্যে পারিবারিক কথা নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। এরই জেরে সংঘর্ষ হয়। জানা যায়, গত ১৬ /০৬/২০২২প্রবাসী খালেদ মিয়া স্ত্রী হেপি বেগম হারুন মিয়ার বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এতে উল্লেখ করেন আমার স্বামী প্রবাসে তাকেন বিবাদীগন আমার কাছ থেকে টাকা ধার কর্জ চাইত। আমি টাকা না দেয়ায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া উঠে। ২১ /০৬/২০২২ ইং সন্ধ্যায় আমার স্বামী ও আমার উপর আক্রমণ করে। স্বর্ণের চেইন চুরি, নগদ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা চুরি সহ একটা অভিযোগ দায়ের করেন।
উভয় পক্ষের সম্মতি ক্রমে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির সহযোগিতায় চেয়ারম্যান মোঃ নোমান হোসেন ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এক শালিস সভায় আপোষ হয়। খালেদ মিয়া বলেন, আমি প্রবাসে থাকাকালিন সময় থেকে আমার ভাই হারুন ও স্ত্রী সনএআমার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে আসছিল আমি বাড়িতে আসার পরে ও ঝগড়া করে। কিছু দিন পূর্বে ২ পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ হয় তা আমাদের ওয়ার্ডের মেম্বার ও চেয়ারম্যান এর উপস্থিতে আপোষ হয় তারপর আবার উত্তেজিত হয়ে আমাদের উপর হামলা করে এতে এতে আহত হয় ২ জন। মুক্তিযুদ্ধো মৃত সুলেমান আলীর স্ত্রী ফুলেছা বিবি বলেন, আমার ছেলে হারুন মিয়া ও তার স্ত্রী মিলে আমার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধো ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে এতে বাদা দিলে তারা উত্তেজিত হয়ে বাড়িতে সবার সাথে সংঘর্ষ সৃষ্টি করে। খালেদ সহ পরিবারের সবাই হারুনের অত্যাচারে বাড়ী থেকে পালিয়ে রয়েছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই লোকেশ তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।