জুবায়ের আহমেদ, বাহুবল : বাহুবলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শিরিন বেগম নামে মহিলা নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মহা সড়কের আদিত্যপুর নামক স্থানে। জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের খাগাউড়া ( নোয়াগাঁও) গ্রামের আব্দুল করিমের স্ত্রী শিরিন আক্তার (৪৫) বাহুবল উপজেলার আদিত্যপুর গ্রামে তার ছোট বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। আদিত্যপুর গ্রামের বোন জামাই সিরাজ মিয়ার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাসের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন তিনি। এ সময় শিরিন বেগমের ১২ বছর বয়সি পুত্র শিমুল আহমেদ রাস্তা পারাপার হতে চাইলে তার পিছনে মা শিরিন বেগমও রাস্তা পার হতে চলে যান, এমতাবস্থায় সিলেটগামী দ্রুত গতির প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ ২৫-৫০৫৪) শিরিন বেগমকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এ সময় মহাসড়কেই পড়ে থাকেন তিনি। আহত মায়ের পাশে বসে তার শিশুপুত্র শিমুল উচ্চসূরে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন শিরিন বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাঃ নুর-ই ইফতেসাম ফারুকী প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশংকাজনক হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ সময় শিরিন বেগমের বোন জামাই সিরাজ মিয়াসহ আত্মীয় স্বজনরা এ্যাম্বুলেন্স সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এ দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুটিজুরী বাজারের লোকজন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে প্রাইভেট কারটি আটক করলে পুটিজুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই ওলি উল্লাহ ও এএসআই ওয়াসিম আটককৃত প্রাইভেট কারটি শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার এস আই শাহ নুর তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে রোগী খোঁজখবর নেন।
এ ব্যাপারে ১৩নং পানিউমন্দা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ জাবেদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিরিন বেগমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিবারটি বড় অসহায় ও দরিদ্র, আব্দুল করিম ও শিরিন বেগমের ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ে সন্তান রয়েছে।