জুয়েল চৌধুরী : চুনারুঘাটে বানিয়াচংয়ের তালাকপ্রাপ্তা এক স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। হবিগঞ্জ শহর থেকে দলবলসহ সাবেক স্ত্রীকে তুলে নিয়ে চুনারুঘাটের এক বাড়িতে রাতভর ধর্ষণ করা হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জের নতুন ব্রিজ এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় লম্পটের দল। এ ঘটনা নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের ফুল মিয়ার পুত্র সোহাগ মিয়া (২৭) এর সাথে বিয়ে দেয়া হয় একই গ্রামের মৃত আব্দুল হকের কন্যা (২৫) কে। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে এক কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। এরপর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারণে সে তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। এ বিষয়ে বানিয়াচং থানায় জিডি করে নির্যাতিতার পরিবার। কয়েক মাস আগে তার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে তালাক প্রদান করে নির্যাতিতা নারী। এরপর থেকে সে শ্রীমঙ্গলে বসবাস করতো। গত বুধবার সকালে তার অসুস্থ মাকে দেখতে বাড়ি আসে। এরপর দুপুরের পর শ্রীমঙ্গলে যাবার জন্য হবিগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ড আসে। ওই সময় তার সাবেক স্বামী সোহাগ দলবল নিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে চুনারুঘাটের জনৈক আরিফের বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে হাত-পা বেঁেধ সোহাগ, আরিফ ও শফিকনুরসহ কয়েকজন তাকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে গতকাল সকালে সোহাগ তাকে নতুন ব্রিজ এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ওই নারী তার আত্মীয় স্বজনকে খবর দিলে তারা এসে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আলোচনার ঝড় বইছে।