স্টাফ রিপোর্টার : ১৬ সেকেন্ডের একটি ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ হবিগঞ্জ আদালতে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তাফাপুর গ্রামের মৃত তকমদ আলীর পুত্র ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও সাবেক দুই বারের মেম্বার সাফু আলম (৪০) ও একই ইউনিয়নের প্রজাতপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র রাশিদুল ইসলাম সেবুল (৩৫) কে অভিযুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ হবিগঞ্জ আদালতে ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি আইনে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বিবরণে ভিকটিম বলেন- আমি প্রায় ৩ বৎসর যাবত ইজাজুর রহমানের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করিয়া আসতেছি। সাফু আলম ও দ্বিতীয় সাক্ষী ইজাজুর রহমানের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় সে আসা জাওয়া করত ইজাজুর রহমানের বাড়িতে। সে আসিয়া আমাকে এক গ্লাস পানি দেউ অথবা এক কাপ চা খাওয়াও। এই সব কাজের ফুট পরমাস দিত। ইহা ছাড়া ও সময় সুযোগ বুঝিয়া আমাকে অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গ ভঙ্গীসহ খারাপ কাজের প্রস্তাব দিত। এমন খারাপ অঙ্গভঙ্গী ও অন্যায় আচরণ আমার নিকট খুবই বিরক্তকর লাগায় আমি বিষয়টি ইজাজুর রহমান কে বিচার প্রার্থী হই। ইজাজুর রহমান বাড়িতে না থাকায় সুযোগে সাফু আলম সেবুল কে নিয়া বাড়িতে আসে। কক্ষে আমি রুম ঘর গোছানোর কাজ করিতে থাকা অবস্থায় পরিকল্পিতভাবে ডেগার বাহির করিয়া বলে রাওশব্দ করলে করিলে এক ফাড়ে খতম করিয়া দিমু। আমি চিৎকার দিতে চাইলে সাফু আলম জোরপূর্বক আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে খাটের মধ্যে ফেলিয়া জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রাশিদুল ইসলাম সেবুল ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে। আমাকে ধর্ষণ করার পর উভয় জন প্রাণ নাশের হুমকি দিয়া বলে, যদি ভবিষ্যতে উক্ত ঘটনার বিষয়ে কাউকে কোন কিছু জানাই তাহলে মোবাইলে ধারণাকৃত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবে। ইতিমধ্যে সাফু আলম ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল করে। যাহা বিগত ২২ আগস্ট ২০২২ তারিখে মানবতার দরজা নামক ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশ পায়। গত ০১ আগস্ট আমার বিয়ে হয় আসামীগণ কৃর্তক ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়ার কারণে লোকমুখে ব্যাপক প্রচার জানাজানি হওয়ায় আমার স্বামীর বাড়ির লোকজন আমাকে তাদের সংসারে নিতেছে না।