স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া থেকে মোঃ ফারুক মিয়া (৪৫) নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। গত শুক্রবার ১১ নভেম্বর রাত ৮ টায় স্থানীয় টাওয়ার বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ফারুক মিয়া উপজেলার রাজিউড়ার মধ্যপাড়া এলাকার মৃত মাতব্বর মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৯ নভেম্বর ভোরে একই গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়ার ক্ষেত থেকে প্রায় ২৪ মন ধান কেটে নেয় একই গ্রামের মৃত মাতব্বর মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া, মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আওয়াল মিয়া, আব্দুল হামিদ ও মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে আব্দুল করিমসহ কয়েকজন যুবক। এ ঘটনায় শাহজাহান মিয়া বাদি হয়ে একই দিন সকাল ১০ টায় উল্লেখিতরাসহ কয়েক জনকে অজ্ঞাত আসামী করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ প্রেক্ষিতে গতকাল রাতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাজিউড়ার টাওয়ার বাজার থেকে ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই খোরশেদ আলম জানান, ধান চুরি সংক্রান্ত দায়েরকৃত একটি মামলায় আসামী ফারুক মিয়াকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে। প্রসঙ্গত, বহুলা গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র সিএনজি চালক কাসেম মিয়া (২৫) গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ইনাতাবাদ এলাকার বাসিন্দা সফিক মিয়ার এইচএসসি পরীক্ষার্থী কন্যা নিলুফার আক্তার (১৯) কে বৃন্দাবন কলেজ থেকে বের হবার পর পিছু নেয় কাসেমসহ কতিপয় যুবক। হঠাৎ মাইক্রোবাস নিয়ে এসে ফিল্মি স্টাইলে উল্লেখিত স্থান থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয়দের ধাওয়ায় অন্যরা পালিয়ে গেলেও কাসেম আটক হয়। তবে কাসেম থানায় নিলুফাকে তার স্ত্রী দাবি করলেও পুলিশ তা আমলে নেয়নি। অবশেষে ছাত্রীর পিতা সফিক সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এসআই সনক কান্তি দাশ জানান, আবুল কাসেমকে গত শুক্রবার ১১ নভেম্বর কোর্টে প্রেরণ করা হবে। বাকীদের ধরতেও অভিযান অব্যাহত আছে। কাসেমের স্ত্রী কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, তার স্ত্রী সন্তান আছে। কিন্তু কাসেম তাকে স্ত্রী দাবি করলেও প্রমাণ নেই।