স্টাফ রিপোর্টার : বানিয়াচংয়ে ফুটবল খেলায় ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বানিয়াচং বড়বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এতে বানিয়াচং থানার ওসিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ও এক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস সেল নিক্ষেপ করেছে। পরে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গতকাল শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে বানিয়াচং উপজেলা সদরের স্থানীয় বড়বাজারস্থ শাহজালাল মার্কেটের সামনে বাগ মহল্লার একদল যুবক ও পুরান তোপখানা মহল্লার একদল যুবকের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কাষ্ঠগড় গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা রমেশ চন্দ্র পান্ডের বাড়ীর সামনে পুরান তোপখানা মহল্লার একদল শিশু ও বাগ মহল্লার একদল শিশুর মধ্যে ফুটবল খেলা শুরু হয়। ওই খেলায় ফাউল করা নিয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং খেলা পন্ড হয়ে যায়। এর জের ধরে উভয় মহল্লার দুইদল শিশু-কিশোর-যুবকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং বড়বাজারস্থ শাহজালাল মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে থানা থেকে ওসি’র নেতৃত্বে পুলিশ এসেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এসময় ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ও এক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশের প্রাণপণ চেষ্টায় সংঘর্ষের আধাঘন্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় ওসিসহ ৭/৮জন পুলিশ আহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়। এছাড়া মারমুখী দু’পক্ষসহ নিরপেক্ষ লোকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। মারমুখী দু’পক্ষের ছুড়া ইটপাটকেলে বিভিন্ন দোকানপাট ও বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তন্মধ্যে এল.আর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মরহুম সিরাজ উদ্দিন খান ও সুরভী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল আলম খান মুছা’র বাড়ী বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে এই দুই বাড়ীর পুরুষ সদস্যরা বাড়ীতে না থাকায় নারী ও শিশুরা ভয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে ছিলেন বলে জানিয়েছেন উভয় বাড়ীর লোকজন। সংঘর্ষের পর ঘটনাটি সামাজিকভাবে মিমাংসা করার উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তিনি নিজেসহ ৭/৮ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ও এক রাউন্ড কাঁদানেগ্যাস সেল নিক্ষেপ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় কোন পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়নি বলেও তিনি জানান। তবে পুলিশ আহত হওয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।