জুয়েল চৌধুরী : ভোটের আগের দিন রাতে জেলা নির্বাচন অফিসসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যার পর থেকেই একের পর এসব ঘটতে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। আতংকে রাত ৮টা বাজার আগেই দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। মানুষজন বাসা-বাড়িতে চলে যান। রাস্তায় আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিক ছাড়া কাউকেই তেমন একটা দেখা যায়নি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া।
জানা যায়, রাত ৮টায় নির্বাচন অফিস প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এরপর শায়েস্তানগর, তেমুনিয়া, গাউছিয়া, ট্রাফিক পয়েন্ট, চিরাখানা সড়ক, সবুজবাগ, স্টাফ কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ হতে থাকে। দুর্বৃত্তরা গাউছিয়া ভোট কেন্দ্র ও স্টাফ কোয়ার্টার কেন্দ্রের রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি পুলিশ-বিজিবিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছুটে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এদিকে এ রিপোর্ট লেখাকালে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে নাশকতা এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিলো। তবে পুলিশের ধারনা আতংক ছড়াতেই এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।