হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ শহর থেকে রাশিদা আক্তার (১৬) নামে এক গৃহপরিচারিকা কিশোরীকে ঢাকায় ৩ মাস আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন শেষে মাথা ন্যাড়া করে বিতাড়িত করে দিয়েছে বাসার মালিক ও তার সহযোগীরা। ওই কিশোরী গতকাল মঙ্গলবার হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছে। সে বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের মোতালিব মিয়ার কন্যা। এ ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভিকটিম রাশিদা ও তার মা মায়া বেগম জানান, দারিদ্রতার কারণে রাশিদাকে প্রতিবেশী মাসুক মিয়া ও সারাজ মিয়া নামে দুই যুবক কাজের জন্য হবিগঞ্জ শহরের গোসাইপুর এলাকার ঠিকাদার শওকত আলীর বাসায় দেয়। কিছুদিন সেখানে কাজ করানোর পর গত মাসের ২৮ আগষ্ট ঢাকার টিকাতলার বাসায় কাজের জন্য নিয়ে যায়। সেখানে কাজের সুবাদে ঠিকাদার শওকত, মাসুক ও সারাজ ওই কিশোরীকে প্রাণের ভয় দেখিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালাত। হবিগঞ্জ আসতে না পেরে রাশিদা সেখানেই মুখ বুঝে পড়ে থাকে। এরই মধ্যে একদিন রাশিদা মাথার চুল ন্যাড়া করে দেয়। এদিকে তার মা মায়া বেগম গোসাইপুরে শওকতের বাসায় তার খোজ না পেয়ে বিভিণœ স্থানে খোজাখুজি করে। কোথাও না পেয়ে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালত উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচার মোঃ মাহতাব হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে সদর মডেল থানার ওসিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেন। বাদি পক্ষে মামলা দায়ের করেন এডভোকেট আজিজুল হক জুয়েল। মামলা দায়েরের পর থেকে উল্লেখিতরা গা ঢাকা দিয়েছে। গত সোমবার বাসার মালিক ও তার সহযোগীরা বাসা থেকে বের হলে কৌশলে রাশিদা পালিয়ে হবিগঞ্জের বাহুবলে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌছলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
Leave a Reply