2. শেষের পাতা
3. উমরপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

উমরপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

1. আপডেট সময় জুন, ২০, ২০১৭, ৩:৩২ পূর্বাহ্ণ
2. 436 বার পড়া হয়েছে

সংবাদদাতা ॥ বানিয়াচঙ্গে গ্রামবাসীর সাথে ডাকাত পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০। পরে ডাকাত পক্ষের মহিলাসহ ১৮ জনকে আটক করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে কাগাপাশা ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, উমরপুর গ্রামে প্রায়ই চুরি, ডাকাতিসহ নানা অসামাজিক কর্মকান্ড চলে আসছিল। গ্রামেরই চিহিৃত একদল ডাকাত এসব ঘটনার সাথে জড়িত বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেন। ডাকাতদের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ গ্রামবাসী প্রায় ২ মাস পূর্বে তাদের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে দিয়ে গ্রাম থেকে বিতারিত করেন। ডাকাতরা ২ মাস বিভিন্ন স্থানে থাকার পর গত মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় উমরপুর গ্রামের মৃত সুরুজ উল্লাহর পুত্র কবির মিয়ার সহযোগিতায় তাদের বাড়ীতে অবস্থান নেয়। এখবর জানাজানি হলে গ্রামের জনাব আলী, জালাল সিদ্দিকী, শাহিনুরের সাবেক মেম্বার আঃ রউফ, লাল মিয়া, ছনর আলী, আঃ রহমান, ছালেক মিয়া, আজব আলী, রিপন মিয়া, আশরাফ উদ্দিন, আঃ মন্নান, আনোয়ার মিয়া, নায়েব আলী, জি.এম সাহিন ও পলাশ মিয়া’র নেতৃত্বে গ্রামবাসী ওই দিন বিকাল ৫টার দিকে ডাকাতদের বাড়িটি ঘেরাও করে রাখেন। এক পর্যায়ে ডাকাতদলের সদস্যরা গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। গ্রামবাসী তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ ঘটনার জানতে পেরে বানিয়াচং থানার ওসি (তদন্ত) দিলোয়ার হোসেন ও এস.আই রাজিবসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে থামানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ডাকাত ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হলে সন্ধ্যার পর ওসি মোজাম্মেল হক একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। রাত ৮টায় সহকারী পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শৈলেন চাকমা ও হবিগঞ্জ সদর সহকারী পুলিশ সুপার হায়াতুন্নবী বিপুল সংখ্যাক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অঅনতে সক্ষম হন। পরে জনতার সহযোগীতায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক মহিলাসহ ১৮ জনকে আকট করেন। আটককৃতরা হলেন, হোসাইন আহমেদ, জাহেরা বেগম, নাজিম উদ্দিন, নাসির, আফসর, সেজু মিয়া, কনর মিয়া, কাউছার, দুরুদ মিয়া, আবু মিয়া, ছাব্বির, সুফি, পৌরশ, শুকুর মিয়া, জুনেদ, মোস্তাক, সুফিয়া, রাহেনা। এসময় গ্রামবাসীর পক্ষে আহত হন। আব্দুল হামি, নাসির মিয়া ু নাসির মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং জামাল মিয়া, তাজ মিয়া, মিজাই মিয়া, তাহের মিয়া ও জুবায়ের মিয়াকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে এসআই রাজীব বাদী হয়ে ১৮ জন ও অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামী করে তাদের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা দায়ের করা হয়।

     এই বিভাগের আরো খবর

•   আজমিরিগঞ্জে ৮ লিটার চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার ১
•   মাধবপুরে অবৈধ তিনটি ডেন্টাল ক্লিনিক সিলগালা
•   শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে
•   ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সকালে যে ৩ কাজ করা উচিত
•   ঋতু পরিবর্তনে সর্দি-কাশি? জেনে নিন ঘরোয়া প্রতিকার
•   আপনার কিডনি কি ভালো আছে? বুঝবেন যেভাবে
•   নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চলতে পারে না
•   লাখাইয়ে প্রসূতির ভুল চিকিৎসার ঘটনায় দুজনকে শোকজ
•   আখের রস বেশি খেলে কী হয়?
•   অনেকের মধ্যেও একাকীত্ব বোধ করছেন? ভালো থাকবেন যেভাবে