,

নবীগঞ্জের গরু পাইকার ছোবহান এখন লাখপতি

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নের গজনাইপুর গ্রামের আব্দুল ছোবহান এক সময় স্থানীয় মেলার বাজারে বাশ ও গরু পাইকারী করে অতিকষ্টে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে এখন তার দিন পাল্টে গেছে। যেন আলাদীনের চেরাগ পেয়েছেন তিনি। এখন তার শান শওকতের অভাব নেই। সিলেট মৌলভীবাজার শহরে রয়েছে তার বাড়ী। ব্যাংকে রয়েছে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকার এফডিআর। হাতে নগন অর্থের ছড়াছড়ি। তবে সরল পথে আসেনি এই অর্থ। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গজনাইপুর গ্রামের সোয়াব উল্লাহর পুত্র আব্দুস ছোবহান বাড়ীর পাশেই মেলার বাজারে তিনি বাশ ও গরু ছাগলের দালালী করতেন। বর্তমানে তার ছেলে সাহেল মিয়া ও শাহিন মিয়াকে নিয়ে তিনি এলাকায় অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার করে চলছে। গজনাইপুর গ্রামের সেলিম মিয়া জানান আব্দুস ছোবহানের অত্যাচার থেকে বাচঁতে সে তার বাড়ী বিক্রি করেছে। এমনকি উর্পাজনের জন্য যে চা স্টল ছিল সেটিও সে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। সেলিম মিয়া আরও জানায়, আব্দুস ছোবহান গরীব মানুষের কাছ থেকে ফাকা চেক নিয়ে ঋণ দেয়। পরে কয়েকগুন পরিশোধ করেও শেষ হয়না এই ঋণ। পরে ওই চেক দিয়ে মামলা করে। এখনও তার কাছে অনেকগুলি চেক জমা রয়েছে। গজনাইপুর গ্রামের শের উদ্দিন তার কাছ থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিল। পরে সে এর কয়েকগুন টাকা পরিশোধ করেও রক্ষা পায়নি। সর্বশেষ তার প্রায় কোটি টাকার বাড়ী দখল করেছে আব্দুস ছোবহান। এছাড়া তার ৫ বিঘা জমি দখলের খবর পাওয়া গেছে। ওই গ্রামের মুজিবুর রহমান দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেও মুক্তি না পেয়ে বর্তমানে এলাকাছাড়া। আব্দুস ছোবহানের এক পুত্র জুয়েল মিয়া পর্তুগালে রয়েছে। তার মাধ্যমে সে হুন্ডি ব্যবসা করার অভিযোগ রয়েছে। আব্দুস ছোবহান ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মামলা করলেও তারা থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাহিরে। ২০১৪ সালে চুরি, ছিনতাই ও মারামারির অভিযোগে মামলা হয় নবীগঞ্জ থানায়। এছাড়া তার ছেলে সাহেল মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এমন অবস্থায় সেলিম মিয়া তার নিরাপত্তার জন্য নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া গত শনিবার সেলিম মিয়া দোখানে পন্য ক্রয় করতে গেলে আব্দুস ছোবহানের ছেলে সাহেল ও শাহিন মিয়া গংরা জন সম্মুখে সেলিমকে রামদা দিয়া ধাওয়া করলে সে আত্মরর্ক্ষাথে দৌড়ে ওই গ্রামের তেরা মিয়ার ঘরে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করে সেলিম। পরে গ্রামের লোকজন গোপলার বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে ফাঁড়ির ইনচার্জ আলী আশরাফ এর নির্দেশে একদল পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
×

Like us on Facebook

Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.