বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচংয়ে ইউপি মেম্বার ও পঞ্চায়েত সর্দারের উপর হামলায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দিবাগত রাতে ৪নং বানিয়াচং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউপি অফিসে সাগর দিঘীর চারপাড় মহল্লাবাসীর বিরোধ নিস্পত্তিসহ তাদের পঞ্চায়েতী টাকা হস্তান্তরের লক্ষ্যে একটি শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া। শালিসে কথাবার্তা নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া, মেম্বার জাহাঙ্গীর মিয়া ও সাগর দিঘীর উত্তরপাড় মহল্লার পঞ্চায়েত সর্দার আজিজুল মিয়ার সাথে বাকবিন্ডায় জড়িয়ে রাগান্বিত হয়ে বৈঠক ছেড়ে চলে যান। এতে শালিস পন্ড হয়ে গেলে সাগর দিঘীর চারপাড়ের মুরুব্বীরা দক্ষিণপাড়ে ছামির উল্লার ব্রয়লারে গিয়ে বসে কিভাবে চেয়ারম্যানের অভিমান ভাঙ্গানো যায় এ ব্যাপারে শলাপরামর্শ করতে থাকেন। এসময় চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ট কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন মোটর সাইকেলে এসে রামদা ও হকিস্ট্রিক নিয়ে মেম্বার জাহাঙ্গীর মিয়া ও সর্দার আজিজুল মিয়ার উপর হামলা চালায়। উপস্থিত লোকজনের হস্তক্ষেপে তারা রক্ষা পেলেও আহত হন। এ ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে রাতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গভীর রাতে বানিয়াচং থানা পুলিশ গ্যানিংগঞ্জ বাজারে অবস্থান নেয়। পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজিত সাগর দিঘীর চারপাড় মহল্লাবাসী উত্তরপাড়ে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। সর্দার আজিজুল মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বানিয়াচং সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দাল হোসেন খান, মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জিল মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর মিয়া, জনাব আলী কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য ব্যবসায়ী ছামির উল্লা, উপজেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি এহিয়া খান, সাবেক ছাত্রদল নেতা মামুন খানসহ চারপাড়ের সর্বস্তরের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সভায়, মেম্বার ও সর্দারের উপর হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যায়িত করে নিন্দা জানানো হয় এবং হামলাকারীসহ তাদের মদদ দাতার বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এদিকে হামলার ঘটনাটি আপোসে মিমাংসার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খানসহ গন্যমান্য নেতৃবৃন্দ। এ ব্যাপারে ৪নং বানিয়াচং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউপি’র চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রেখাছ মিয়ার মতামত জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মেম্বার ও সর্দারের উপর হামলার ঘটনাকে অনাকাড়িখত উল্লেখ করে তার আত্মীয়-স্বজনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি মিমাংসার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ইকবাল কাকা (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান); আমীর হুসেন ভাই (উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি) প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ আব্দাল হোসেন খান এরার সাথে যোগাযোগ করছি।
Leave a Reply