জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার জয় দেব কুমার ভদ্রের বাস ভবনের গেটের নিকট চোরাগুপ্তাভাবে দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় একটি ককটেল মোটরসাইকেলের উপর পড়লে তিন আরোহী আহত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের সার্কিট হাউজ রোডস্থ পুলিশ সুপারের বাসভবনের গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ শহরের বিভিন্নস্থানে সাড়াশি অভিযান শুরু করে। বিকাল ৩টার দিকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ছাত্রদলের আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া ঝলককে আটক করেছে পুলিশ। ককটেল বিস্ফোরনে আহতরা হলেন মাধবপুর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা, আল-আমিন (২৫), আব্দুল কাইয়ূম (২৬), সবুর মিয়া (২০)। পুলিশ ও আহত সূত্রে জানা যায়, দুর্বৃত্তরা দুপুরে ওই সড়কে অবস্থিত পুলিশ সুপার বাসভবনের গেইট লক্ষ্য করে দু’টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় একটি ককটেল মোটর সাইকেল আরোহী আল-আমিনের উপর পড়ে। এতে তিনি মাথায় প্রচন্ড আঘাত পান। ককটেলের আঘাতে মাথায় থাকা হেলমেটটিও চুর্ণবিচূর্ন হয়ে যায়। মোটর সাইকেলটিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে আহতরা জানিয়েছেন। হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ আল-আমিনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতরা জানান, হবিগঞ্জ সোনালী ব্যাংকে আসার পথে তারা এ ঘটনার শিকার হন। এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে সাড়াশি অভিযান চলছে। এব্যাপারে সদর থানার (ওসি) নাজিম উদ্দিন জানান, ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় হবিগঞ্জ পলিটেকনিক্যাল কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক গোলাম কিবরিয়াকে আটক করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ২৮ ডিসেম্বর রাত ৯টায় পুলিশ সুপারের বাস ভবন লক্ষ্য করে ২টি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে গিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দিলেও ওইদিনের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ককটেল নিক্ষেপ করার ঘটনায় পুলিশ ১ জনকে আটক করেছে। পুলিশ সুপার আরো জানান, এটি স্পর্শকাতর স্থান হওয়ায় ওই এলাকাতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। এদিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছুড়া ওই সব ককটেল, কিংবা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের কারণে সাধারণ মানুষ জন নির্বিঘেœ চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, বোমা বা ককটেল আতংক থাকার কারণে তারা নির্বিঘেœ চলাফেরা করতে পারছেন না। আবার ঘরে থাকলেও অনেকে গ্রেফতার আতংকে বাইরে বের হতে পারছেন না। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। সুশীল সমাজ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
Leave a Reply