,

চোর ধরবে তালা!

সময় ডেস্ক ॥ এই বুঝি সব নিয়ে গেলো চোর! বাসা-বাড়িতে তালা লাগিয়েও আতঙ্কে থাকেন পরিবারের সবাই। তবে এবার এই আতঙ্ক থেকে মুক্তি দিতে রিহ্যাবের আবাসন মেলায় চায়না প্রযুক্তির উন্নতমানের তালা নিয়ে এসেছে প্যাসিফিক ওয়ান-স্টপ ইন্টেরিয়র সল্যুশন। প্যাসিফিক ওয়ান স্টপ ইন্টেরিয়র সল্যুশনের কর্মকর্তা সাঈদ মাহমুদ জানান, চায়না প্যাসিফিক কোম্পানির তৈরি বিশেষ ধরনের এই তালা বাড়ির মালিককে বলে দেবে দরজায় চোর! তালার ভেতরের অংশে এক ধরনের সিগনাল সিস্টেম ট্রান্সমিটার থাকবে। ট্রান্সমিটারের সঙ্গে বাড়ির মালিক ডিভাইস লাগিয়ে নিতে পারবেন তার ব্যবহার করা মেবাইল হ্যান্ডসেটে। এতে চোর ছাড়াও অপরিচিত কেউ দরজা খোলার চেষ্টা করতেই মোবাইলে অটোমেটিক সংকেত বেজে উঠবে। তিনি দেশের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন এতে সহজেই বুঝতে পারবেন তার বাসায় চোর চুরির চেষ্টা করছে। অত্যাধুনিক এ তালার দাম ৩৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে (বিআইসিসি) ৫ দিনব্যাপী রিহ্যাব উইন্টার ফেয়ারে এ তালার বিভিন্ন দিক তুলে ধরছেন প্যাসিফিকের কর্মকর্তারা। মেলায় বাড়ি, হোটেল ও অ্যাপার্টমেন্টের প্রায় ২ হাজার পদের পসরা নিয়ে বসেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া, এখানে রয়েছে প্যাসিফিক থিফ এন্দি লকার। এর দাম ১৩ হাজার টাকা। এই লকে ৩-৪টি হুক রয়েছে। অনাহূতভাবে কেউ ঘরে ঢুকতে গেলে কমপক্ষে ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগবে। এসময় বাড়ির কেউ না কেউ টের পাবে। এটি চায়নার জিংক এলই ধাতু দিয়ে তৈরি। তালাগুলোর গড় ওজন ৩ থেকে ৪ কেজি। এছাড়া মেলায় রয়েছে ওয়ান টাইম ইউজ সিস্টেম লক। মালিক ছাড়া অন্য কেউ এ লক খুলতে পারবে না। শুধু মালিক জানবে কিভাবে তালা খুলতে হয়। মালিকের কাছে থাকবে একটি মাস্টার চাবি। কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে লক খোলার জন্য চাবি তৈরি করেন তবে মালিক তালাতে চাবি ঢোকালে আগের যেকোনো চাবি বিকল হয়ে যাবে। এসব তালা দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন স্টলে।৩কলকাতায় রাজ্জাকসময় ডেস্ক ॥ দেশীয় চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাক এখন কলকাতায়। পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে গেছেন তিনি। স্ত্রী লক্ষ্মী, পুত্র সম্রাট, পুত্রবধূ, নাতি-নাতনী নিয়ে সম্পূর্ণ অবকাশ যাপনের পাশাপাশি নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার জন্যই তার এই কলকাতায় যাওয়া। বেশ আগে থেকেই কলকাতা ভ্রমণের পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন নায়করাজ। সময় সুযোগ মতো বুধবার উড়াল দিলেন নিজের স্মৃতি বিজড়িত জন্মস্থানে। যাওয়ার আগে মানবজমিনকে নায়করাজ বলেন, শুধু বেড়ানোর জন্যই যাওয়া। আত্মীয়স্বজনদের বাসায় বেড়াবো। স্মৃতি জাগানিয়া জায়গাগুলো নাতি-নাতনিদের নিয়ে ঘুরবো। ছোটবেলার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারবো। প্রায় দশ দিন কলকাতায় থাকবো। নায়করাজ রাজ্জাক বলেন, কলকাতা যখন যাচ্ছি তখন শরীরের রুটিন চেকআপটাও করিয়ে আসবো। তিনি বলেন, আমার শরীরটা এখন অনেক ভাল। তবে মনটা বেশ খারাপ চাষী চলে যাওয়ায়। চাষী নজরুল ইসলাম আর আমি ঘনিষ্ঠ বন্ধু। অনেক সময় আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছি। আমাদের অনেক স্মৃতি। ওর মৃত্যু আমার বুকটা ভারি করে দিয়েছে। দেখি কলকাতায় গিয়ে সবার সঙ্গে মিলেমিশে তা হালকা করতে পারি কিনা। নায়করাজ রাজ্জাক বলেন, বুকটা হয়তো কিছুটা হালকা হবে, তবে চাষীকে আমি কোনদিনও ভুলতে পারবো না। চাষী নজরুল ইসলাম ভুলে যাওয়ার মতো মানুষ নন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.