রস্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদের বিরুদ্ধে, অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যহার, অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ কর্তব্যকাজে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবরে একটি অভিযোগপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলার ৬নং কুর্শি ইউনিয়নের খনকারীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও কলেজ গভর্ণিং কমিটির সাবেক সদস্য খলিলুর রহমান, কলেজপাড়ার বাসিন্দা ইয়াওর আলী শিকদার ও মোঃ আলতাব উদ্দিন স্বাক্ষরিত ঐ অভিযোগে বিভিন্ন কাজে অনিয়ম, মনগড়া বিভিন্ন কাজ করিয়ে বিল ভাউচার না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করাসহ ৩৩টি অভিযোগ পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের জুন মাসে সৌর বিদ্যুৎ এর জন্য এমপি মহোদয় কর্তৃক বরাদ্দকৃত ১ লক্ষ আশি হাজার টাকা অধ্যক্ষ মহোদয়কে প্রদান করা হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদ কলেজে সৌর বিদ্যুৎ এর কোনো কাজ না করিয়া সমুদয়টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০১৭ সালে ফেব্র“য়ারী মাসে নবীগঞ্জ কলেজের লাইব্রেরীর জন্য এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বই ক্রয় করেছেন বলে অধ্যক্ষ মহোদয় প্রচার করিতেছেন কিন্তু তিনি জিবির কোনো অনুমোদন না নিয়ে নাম মাত্র কমিটি করে বই খরিদ করেছেন। আমাদের ধারণা এখানেও তিনি টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০১৬ইং আগস্ট মাসে অধ্যক্ষ অসুস্থ হন এবং তিনি চার মাস কলেজে আসেন নাই এবং তিনি জিবি এর কাছে ছুটি না নিয়ে অবৈধ ও বে-আইনী ভাবে বেতন উত্তোলন করেন। ফলে তিনি সরকারি ছুটির বিধি এবং জিবি’র প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করেছেন। কলেজের দোতলার বধির্ত অংশে নির্মাণ কাজ বাবদ ৩২ লক্ষ টাকা অধ্যক্ষ নিজে এবং নিজস্ব লোকদ্বারা করিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কিন্তু বিধি রয়েছে ২ লক্ষ টাকার উপরে কাজ করতে হলে উন্মুক্ত টেন্ডার তৈরি করে খবরের কাগজের মাধ্যমে দরপত্র আহবান করতে হবে। কিন্তু অধ্যক্ষ ঢ়ৎড়পঁৎবসবহঃ ধঃপ ২০০৮ লংঘন করে দরপত্র আহবান না করে নিজেস্ব লোক দিয়ে এই কাজটি করিয়ে ক্ষমতায় অপব্যবহার করেছেন বিধায় বিষয়টি দুদক আইনের অধীনে অপরাধ বটে। কলেজের দু’তলায় বর্ধিত অংশের নির্মাণ কাজ করার সময় অধ্যক্ষ নির্মাণ প্রকৌশলীর ধারা কোন লেআউট তৈরি করেনি। এমনকি পৌরসভার প্রকৌশলীরও কোন অনুমতি নেন নাই। উক্ত ভবন কোন সময় ঘূর্ণি ঝড়ে বা প্রাকৃতিক দূর্যোগে ভেঙ্গে যেতে পারে এবং ছাত্র-ছাত্রীর প্রাণহানী ঘটতে পারে। বর্ধিত অংশের নির্মাণ কাজের সময় অধ্যক্ষ জিবির কোন অনুমতি নেন নাই এবং কোন টেন্ডার আহবান করেন নাই। সমুদয় টাকা নিজ হাতে খরচ করায় ৯ মাস পর জিবির সভা আহবান করেন। উক্ত কাজে তিনি ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন বলে জানান। কিন্তু অধ্যক্ষ উক্ত টাকা কোন ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন বাথা থেকে উক্ত টাকা খরচ করেন জিবির অনুমতি ছাড়া। জিবির সদস্যগণের বোধগম্য নহে। অধ্যক্ষ জিবির সভায় কোন বিল-ভাউচার উপস্থাপন করেন না। তহবিল তছরুপ ও আর্থিক দূর্নীতি বটে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের গভর্ণিং বডি (সংশোধিত) ২০১৫ এর প্রবিধি ১৭ অনুযায়ী প্রতিবছর কম পক্ষে ৩ বার জিবির মিটিং আহ্বান করার কথা কিন্তু জিবির ৩ বৎসর মেয়াদে তিনি কলেজ থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি করার জন্য সভাপতিকে ভুল বুঝিয়ে জিবির মেয়াদ প্রথমার্ধ্বে ৯ মাস এবং শেষ পর্যায়ে ৯ মাস মোট ১৮ মাস জিবির কোন সভা ডাকেন নাই। যাহা তাহার অদক্ষতা,স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতি করার মনোভাব বহিঃপ্রকাশ বটে। রেজুলেশন খাতা তদন্ত করিলে ইহার সত্যতা বাহির হইয়া আসিবে। কলেজের ছাত্রছাত্রীর বেতনের টাকা, ভর্তির টাকাসহ বিভিন্ন ফি এর টাকা অফিস সহকারী বিন্দু ভূষণ বৈদ্যের মাধ্যমে সংগ্রহ করে কলেজের একাউন্টে জমা না দিয়ে অধ্যক্ষ নিজের হাতে রেখে এবং বিন্দু বাবুর হাতে রেখে খেয়াল খুশি মত খরচ করেছেন। যাহা তহবিল তসরুফের সামিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি রয়েছে ৫০০ টাকার উপরে প্রতিষ্ঠান প্রধান বা অধ্যক্ষ খরচ করিলে জিবির অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু অধ্যক্ষ মহোদয় বিভিন্ন কাজে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ও ভাউচারে জিবির কোন অনুমোদন নেন নাই। যাহা ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা ও চরম দূর্নীতির সামিল বটে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি রয়েছে দৈনন্দিন খরচের জন্য আয়ন-বায়ন অফিসার বা প্রতিষ্ঠান প্রধান কত টাকা হাতে রাখতে পারবেন তা পরিচালনা কমিটি অর্থাৎ জিবি স্থির করবেন এবং সেই অনুযায়ী তিনি নগদ টাকা ব্যাংক হতে উত্তোলন করে রাখতে পারবেন তবে কোন অবস্থাতেই ৫ হাজার টাকার উর্দ্ধে হবেনা। কিন্তু অধ্যক্ষ অফিস সহকারী বিন্দু বাবুর সহায়তায় ছাত্র-ছাত্রীর বেতনের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজ হাতে রেখে খেয়াল খুশি মত খরচ করে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্ম দিয়েছেন। কলেজের নিজেস্ব চারটি পুকুর ও একটি ছোট নদী রয়েছে। পুকুর ৪টিতে মাছ চাষ করা হয় এবং কলেজে ফান্ড থেকে টাকা খরচ করে মাছের পোনা ছাড়া হয়। কিন্তু পুকুর গুলো ইজারা বা বিক্রেয়ের টাকা কলেজের জেনারেল ফান্ডে জমা না দিয়ে (প্রতি বৎসরই) অধ্যক্ষ নিজ হাতে টাকা রাখেন এবং খাম খেয়ালী মত খরচ করেন। (১৯৯৬ সাল হইতে)। ৪টি পুকুর ও ছোট নদী ইজারা দিয়ে নিজেই টাকা (প্রতি বৎসর) আত্মসাৎ করেন। তিনি কখনই কলেজের ফান্ডে উক্ত টাকা জমা দেন নাই এমনকি ব্যাংকের জমার রশিদ ও দেখাতে পারবেন না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি আছে রশিদ বইয়ের হিসাব একটি পৃথক রেজিস্ট্রারে সংরক্ষণ করতে হবে এবং তাতে কত তারিখে কতগুলো রশিদ ছাপানো হল, কোন তারিখে কত নম্বর রশিদ বই ব্যবহারের জন্য বের করা হলো তা প্রতিষ্ঠান প্রধান বা সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরসহ লিপিবদ্ধ করতে হবে। কিন্তু অধ্যক্ষ খাম-খেয়ালী মনোভাব নিয়ে রশিদ বই ছাপান এবং ব্যবহার করেন। যাহার কোন হিসাব নেই এবং রশিদের বহি নং এর কোন নম্বর নেই। যাহা আইনের পরিপন্থী কাজ ও এবং তহবিল তসরুপ এর সামিল। বাৎসরিক কোন বাজেট বিগত তিন বৎসর না করে কোন খরচের খাত জিবি দ্বারা অনুমোদন না করিয়া মনগড়া ভাবে অধ্যক্ষ নিজে ও অফিস সহকারী বিন্দু বাবুকে দিয়ে টাকা পয়সা খরচ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান ও সরকারের আর্থিক নিয়মাবলী লংঘন করে আর্থিক কেলেংকারি করেছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের গভর্ণিং বডি (সংশোধিত) ২০১৫ এর ২৫(খ) প্রবিধি অনুযায়ী নতুন খসড়া বাজেট তৈরি হয়ে থাকে। কিন্তু অধ্যক্ষ তা না করে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন ইহা বিচার্য্য বিষয়। তিনি বিগত তিন বৎসর কখনো ছুটি নেন নাই। তিনি মাসের পর মাস সিলেট শহরে বসবাস করে কলেজ ফাঁকি দিয়ে আসিতেছেন এবং প্রতারণা করিতেছেন। এ ব্যাপারে কোনো প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কলেজের অফিসে সহকারী বিন্দু বাবুর উপরে সব আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব অর্পণ করে কলেজের দৈনন্দিন কার্য পরিচালনা করে আসিতেছেন। যাহা আইনের পরিপন্থী কাজ। নিয়ম বর্বিভুত ভাবে তিনি মন্ত্রনালয় থেকে ডিগ্রি কলেজের কোড না নিয়ে ডিগ্রি কলেজের কোডে অধ্যক্ষ হিসেবে বেতন উত্তোলণ করিতেছেন। যাহা আর্থিক কেলেংকারি বটে। (উল্লেখ্য থাকা আবশ্যক যে বর্তমানে নবীগঞ্জ কলেজের কোড হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের কোড)। বাংলাদেশ সার্ভিস রোল এর ৭৩ বিধি অনুযায়ী কোন সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলার চার্জশীট আদালত কর্তৃক গৃহীত হলে তিনি নিজ পদে থাকিতে পারেন না অর্থাৎ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্থ করিতে বাধ্য। কিন্তু নবীগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানার মামলা নং ২৭ তারিখ ৩০-১০-২০১০ইং, নবীগঞ্জ আমলী আদালতের জিআর মামলা নং-২৮৭/১০, অভিযোগ পত্র নং -০৭, তারিখ ১৩/০১/২০১১ আদালত কর্তৃক গৃহীত হওয়া স্বত্ত্বেও তিনি কিভাবে অধ্যক্ষের পদে থাকেন বিষয়টি বোধগম্য নহে। উল্লেখ্য যে, উক্ত খুনের মামলার এক নম্বর আসামী তিনি। মন্ত্রীপরিষদ মন্ত্রনালয়ের সার্কুলারের কপিসংযুক্ত -১ এবং চার্জশীটের কপি সংযুক্তি-২ অনুগ্রহ পূর্বক দেখা যেতে পারে। কলেজ জাতীয়করণ ঘোষণা করার কিছুদিন পর, কলেজের ভর্তি ফি, পরীক্ষার ফি, বেতন ও অন্যান্য আয়ের টাকা কলেজ ফান্ডে জমা না দিয়ে অধ্যক্ষ কিছু টাকা নিজ হাতে এবং কিছু টাকা ফিস সহকারী বিন্দু বাবুর নিজ হাতে রেখে আর্থিক কেলেংকারী করেছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি রয়েছে সকল আয়-ব্যয় হিসাব মাস শেষে ব্যাংক স্টেটমেন্ট নিয়ে ক্যাশ বইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা অধ্যক্ষ ব্যাংকে টাকা জমা না দিয়ে আর্থিক কেলেংকারী করেন এবং ক্যাশ বই ও ব্যাংক একাউন্টের ষ্টেটমেন্ট কখনো মিলেয়ে দেখেন নাই। উল্লেখ্য যে অধ্যক্ষের মেয়ে অরনী আজাদ অর্নাস পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলেও অধ্যক্ষ মহোদয় অবৈধভাবে তাকে ওঈঞ এর শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেখিয়ে প্রতি মাসে ১২ হাজার টাকা করে বেতন দিয়ে আসিতেছেন। প্রকৃতপক্ষে অরনী আজাদ একদিন ও ওঈঞ কোনো ক্লাস নেন নাই। তাকে প্রায় ৪ হাজার ৪ শত টাকা করে বৈশাখী বোনাস ও প্রদান করা হয়েছে। ৮ মাসে তাকে প্রায় ১ লক্ষ টাকার অবৈধ আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। সরকারী বিধি অনুযায়ী বেসরকারী ডিগ্রি কলেজের শিকক্ষদের বাড়ি ভাড়া প্রদান করার কোন বিধিান নাই। কিন্তু নবীগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ২০১০ সাল থেকে মূল বেতনের ৪৫% হারে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বাড়ি ভাড়া বাবদ উত্তোলন করে আর্থিক অনিয়ম করেছেন বিধায় বিষয়টি ঞযব চৎবাবহঃরড়হ ড়ভ পড়ৎৎঁঢ়ঃরড়হ অপঃ ১৯৪৭ এর (২) ধারা এবং দন্ডবিধির ৪২০/৪০৬ এর অধীনে দন্ডনীয় অপরাধ বটে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি ও শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নিরীক্ষা ও অডিট শাখার বিধি রয়েছে প্রতি তিন মাস পর পর কলেজের নিজেস্ব শিক্ষক দিয়ে এবং জিবির সদস্যদের দিয়ে অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি গঠন করে আয় ব্যয় এর হিসাব করা এবং সংরক্ষণ করা। কিন্তু অধ্যক্ষ ১২ বৎসর যাবৎ কোন অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি গঠন করেন নাই এবং অডিট করান নাই। জিবি অনুমোদন ছাড়া অধ্যক্ষ খাম খেয়ালী ভাবে অর্থাৎ গনগড়া ভাবে নিজেই ভর্তি ফি নির্ধারণ করেন। যাহা আইনের পরিন্থ’ী কাজ। সেচ্ছাচারীতা বহিঃ প্রকাশ ও আর্থিক কেলেংকারী। কলেজে কোনো ভর্তি কমিটি অধ্যক্ষ করেন নাই। তিনি নিজেই ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করেন এবং ভর্তি ফরম, প্রশংসাপত্র ও ছাড়াপত্রের ফি সহ অন্যান্য টাকা আত্মসাৎ করেন। কলেজের বার্ধিত অংশের নির্মাণ কাজ ও স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ করানোর সময় লক্ষ লক্ষ টাকার কাঠের প্রয়োজন হয়। অধ্যক্ষ জিবিতে ভুল বুঝিয়ে ১০০টি গাছ কেটে ফেলেন যাহা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নাই এবং নির্মাণ কাজে কিছু কাঠ লাগিয়ে সকল কাঠ বিক্রয়ের টাকা আত্মসাৎ করেণ। যাহা স্বেচ্ছাচারীতা, ক্ষমতার অপব্যবহার বলে বহিঃ প্রকাশ ও আর্থিক কেলেংকারী বটে। কলেজে মারুফ-এনায়েত নামে একটি দুতলা ভবন রয়েছে। উক্ত ভবনের দু-তলার একটি কক্ষ অধ্যক্ষ নিজ ক্ষমতা বলে ভেঙ্গে ফেলেন। তিনি জিবির কোন অনুমতি নেন নাই এবং জিবির সঙ্গে আলোচনা করেণ নাই। যাহা স্বেচ্ছাচারীতা এবং আইনের পরিপন্থী কাজ। কিনি অনুমতি ছাড়া এই হীণ কাজ করতে পারেন না কলেজ জাতীয় করণের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এই মর্মে কলেজের কোনো উন্নয়ন মূলক কাজ যাবে না। এই নিষেধাজ্ঞার পরও অধ্যক্ষ কয়েক লক্ষ টাকায় কাজ করিয়েছেন জিবির অনুমোদন ছাড়া। সিলেট শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ কলেজে একটি মোবাইল সীশ কার্ড সরবরাহ করেন। অধ্যক্ষ উক্ত সীমকার্ডের জন্য পচিঁশ হাজার টাকা দিয়ে ১টি মোবাইল ফোন ক্রয় করে ইহা উনার সিলেটের বাসায় রেখে দেন। মোবাইলটি কলেজের কোনো কাজে ব্যবহার করেন না। যাহা ক্ষমতার অপব্যবহার ও আইনের পরিপন্থী কাজ এবং জিবি কোন অনুমতি নাই। সিলেট শিক্ষা বোর্ড হইতে ভর্তি ফরমের টাকা ফেরতকৃত ডাটা ব্যাইজের টাকা জেনারেল ফান্ডে জমা না দিয়ে অধ্যক্ষ নিজে এবং অফিস সহকারী বিন্দু ভূষনকে নিয়ে লক্ষাধিক টাকা ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করেন এবং জিবির কোন অনুমোদন নেন নাই। যাহা আর্থিক কেলেংখারী বটে। কলেজের দরিদ্র ফান্ডের টাকা বন্টনের জন্য অধ্যক্ষ কোনো কমিটি করেন না। তিনি নিজেই দরিদ্র ফান্ডের টাকা ইচ্ছামাফিক ব্যবহার করেন এবং আত্মসাৎ করেন। উক্ত দরিদ্র ফান্ডের টাকা বন্টনের জন্য তিনি কখনও জিবির অনুমোদন নেন নাই। তাহার হীন উদ্দেশ্য ক্ষমতার অপব্যবহার ও আর্থিক কেলেংকারী বটে। শিক্ষা মন্ত্রনালয় প্রদত্ত প্রায় (২০+২০= ৪০টি) ল্যাপটপ ও কম্পিউটার গুলি অযতœ অবহেলা করে কিছু নষ্ট করেন এবং কিছু অধ্যক্ষ নিজ হেফাজতে রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের কম্পিউটার ক্লাস থেকে বঞ্চিত করেন। যাহা আইনের পরিপন্থী কাজ। অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদ ১৯৯৬ইং হইতে নবীগঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ এর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি সব সময় জিবির অনুমোদন ছাড়া লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেন ও নিজ হাতে ক্যাশ রাখেন এবং কোন সময় তিনি জিবির অনুমোদন নেন নাই। যাহা আর্থিক কেলেংকারী বটে। উল্লেখ্য যে, নবীগঞ্জ কলেজটি জাতীয় করণের ঘোষনা করার পর প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে কলেজের সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কাজসহ কলেজ তহবিলের টাকা ব্যয় না করার জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদ জিবি সদসগণের নিকট প্রজ্ঞাপনের বিসয়টি বা পত্রটি গোপন করে আর্থিক কেলেংকারীর হীন উদ্দেশ্য নিয়ে কলেজের উন্নয়ন মূলক কাজ চালিয়ে যাওয়াসহ কলেজের ব্যাংক একাউন্ট এর টাকা নিজ হাতে রেখে ব্যয় করাসহ সরকারের প্রজ্ঞাপনের প্রতি অশ্রদ্ধা মূলক মনোভাব পোষন করেছেন। যাহা আইনের পরিপন্থী বলে দুদক আইনের অধীনে নিচার্য বিষয় বটে। কলেজের ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে নবীগঞ্জ কলেজ স্কুল নামে একটি নতুন স্কুল তৈরি করেছেন। যেখানে জিবির কোনো অনুমোদন নাই। বিগত ১১-০৪-২০১৭ইং তারিখের নবীগঞ্জ কলেজের গর্ভনিং বোর্ডের ১১০তম সভার সিদ্ধান্ত বলে কলেজের যাবতীয় আর্থিক বিষয়াদি অডিট করার জন্য আভ্যন্তরীন অডিট কমিটি গঠন করা হলে কলেজের অধ্যক্ষ অডিট কমিটিকে কোনো কাগজপত্র সরবরাহ করত অনীহা প্রকাশ করেন। এমনকি তিনি নিম্নমান সহকারী বিন্দু ভূষনকে অডিট কমিটিকে কোনো প্রকার কাগজপত্র সরবরাহ করতে নিষেধ করেছেন। অডিট কমিটির আহবায়ক মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী বারবার অনুরোধ করা সত্বেও অধ্যক্ষ অডিট কাজে তাকে সহায়তা করেন নাই। ফলে অডিট কার্য সম্পন্ন করা সম্ভব হয় নাই। এখানে গর্ভনিং বডির বৈধ সিদ্ধান্তকে অমান্য করে চরম অপরাধ করেছেন। এ ব্যাপারে কলেজের রেজুলেশনের কপি সংযুক্তি -৩, অফিস সহকারী বিন্দু বাবুর পত্রের কপি সংযুক্তি-৪ এবং অডিট কমিটির আহবায়কের পত্রের সংযুক্তি-৫। কলেজ সরকারি করণ ঘোষনা করার পর অধ্যক্ষ কলেজের জিবির সভায় উপস্থাপন করেন যে, কলেজ সরকারি হলে কলেজের সমুদয় অর্থ সরকারি ফান্ডে চলে যাবে। তাই কলেজ ফান্ডের সকল টাকা উত্তোলন করা প্রয়োজন এবং আমার নিজ একাউন্টে রাখা প্রয়োজন। তখন জিবির সদস্যগণ ইহাতে বাধা দেন। পরে অধ্যক্ষ লাইব্রেরী ভবন নিমার্ণ করার জন্য প্রস্তাব দেন। পরে নামমাত্র প্রজেক্ট কমিটি গঠন করেন। কিন্তু উক্ত প্রজেক্ট কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করেন নাই। পরবর্তীতে শুনা যায় অধ্যক্ষ সভাপতিকে ভুল বুঝিয়ে কলেজ ফান্ড থেকে এক সঙ্গে ২২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে অধ্যক্ষ ব্যক্তিগত একাউন্ট অথবা নগদ হাতে রেখে দেন। তার পর নিজ দায়িত্বে লাইব্রেরির কাজ করেন এবং সাথে কলেজের স্কুল ভবন নামে একটি ভবন নির্মাণ করেন। তিনি বলেন উক্ত স্কুল ভবনে আমার নিজস্ব ছাত্র-ছাত্রী লেখা পড়া করে। উক্ত ভবন নির্মাণে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা কলেজ ফান্ড থেকে খরচ করেন। স্কুল ভবনের নির্মাণ খরচ কোন একাউন্ট থেকে উত্তোলন করেন বা কোথা হইতে খরচ করেন তাহা জিবির সদস্যগণের বোধগম্য নহে। তিনি ৯ মাস জিবির কোন মিটিং আহবান করেন নাই। ৯ মাস পর যখন জিবি সভা আহবান করেন, তখন তিনি উক্ত ২২ লক্ষ ও ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে মর্মে জিবির মিটিংয়ে উপস্থাপন করেন। কিন্তু জিবি কোন অনুমোদন দেয় নাই। কারণ জিবির সদস্যগণের মনে হয় প্রজেক্ট কমিটি ছাড়া অধ্যক্ষ নিজে কাজ করিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন। যা তহবিল তছরুপ ও আত্মসাতের সামিল এবং আইনের পরিপন্থী কাজ। অভিযোগের অনুলিপি শিক্ষামন্ত্রী, দূর্নীতি দমন কমিশন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply