হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ডাক্তারের চিকিৎসা অবহেলায় সোনাহর আলী (৯০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্য হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্বজনরা। পরে বৃদ্ধ স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওই অভিযুক্ত ডাক্তারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই শাহিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সোনাহর আলী শহরের নাতিরাবাদ এলাকার মৃত মনোহর আলীর পুত্র। গত সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সোনাহর আলী বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত কোন ডাক্তার না থাকায় জরুরি বিভাগের ব্রাদার রাজীবকে চিকিৎসা দিতে বলেন স্বজনরা। স্বজনদের অভিযোগ এ সময় তার সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় সে চিকিৎসা না দিয়ে চলে যায়। পরে দায়িত্বরত ডাক্তার ত্রিলোক চাকমা আসার পর তাকে চিকিৎসা দিতে বলে স্বজনরা। এ সময় চিকিৎসা দিতে বিলম্ব করায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয় সোনাহর আলীর। পরে বৃদ্ধ স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দরজা বন্ধ করে ডাক্তারকে অবরুদ্ধ করে রাখে তারা। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এদিকে, হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনার বিচার দাবী করেছে সোনাহর আলীর আত্মীয়রা। থানার এসআই শাহিদ মিয়া জানান, অনাকাংঙ্খিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সাবর্ক্ষণিক হাসপাতাল এলাকায় সচেষ্ট ছিল। তাই এ ঘটনায় কোন ধরণের অনাকাংঙিত ঘটনা ঘটেনি। ডাক্তার ত্রিলোক চাকমা জানান, আমি চিকিৎসা দিতে দেরি হয়নি। জরুরী বিভাগে একাধিক রোগী থাকার কারণে একের পর এক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে সোনাহর আলীকে মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
Leave a Reply