March 25, 2025, 12:38 pm

দ্বিগাম্বর মাদরাসা সুপার জাফরীর দুর্নীতি শিক্ষার মান ব্যাহত ॥

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের দ্বিগাম্বর সিদ্দিকীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদরাসার বিতর্কিত সুপার মাওলানা, রফিকুল ইসলাম জাফরী দিন দিন দুর্নীতির বোঝা নিয়ে চলছেন। সেই বোঝা ভারীর চেয়ে ভারী হচ্ছে। মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের মাঝে গাইড, নোট বই বিক্রি, মাদরাসার ফান্ড তছরুফ, আর্থিক কেলেংকারী, আপন ভাই তৌফিককে হত্যার চেষ্টা, হারাম উপায়ে শিার্থীদের ছাড়পত্র বাবদ ৮শ/৫শ টাকা করে আদায়, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে অমার্জিত আচরণ, ৭০ জন দাখিল পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১১শ টাকার স্থলে ২৭শ টাকা নেয়া ইত্যাদি তথ্য প্রকাশ পাবার পর জানা গেছে তিনি অবৈধভাবে আনা মোটর সাইকেল ব্যবহার করছেন দীর্ঘদিন ধরে। জানা যায়, ওই সাইকেলের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। সুপার রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে আলাপ করলে তিনি বলেন- আমার নিজের টাকায় কেনা সাইকেলের কাগজপত্র আছে বলে স্বীকার করলেও সাইকেলে কোন নাম্বার প্লেট না থাকায় জনমনে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। মোটরসাইকেল চালানোর কোন শর্ত পালন করছেন না। ফলে ফাঁকি দিচ্ছেন সরকারের মোটা অংকের ট্যাক্স। তার এই চলাফেরার আচরণ দেখে অনেকেই হতবাক হয়ে মন্তব্য করেন- একজন আলেম হয়ে যদি হারাম-হালাম মিলিয়ে চলেন তাহলে সাধারণ মানুষ করবে কি এদিকে সুপার রফিকের দুর্নীতির সংবাদ ইতিপূর্বে মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর তিনি নানাভাবে সাংবাদিকদের বিষোদগার করছেন। তার আচরণে এলাকাবাসীও অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। সুপার রফিক দুর্নীতি তথা মাদরাসার অর্থ অবৈধভাবে হজম করার দায়ে ২০০৩ সালে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত হন। প্রায় ৭ বছর বরখাস্ত অবস্থায় থাকার পর ২০১০ সালে পরবর্তী ম্যানেজিং কমিটির সহযোগিতায় তাকে রহস্যজনকভাবে পূনঃর্বহাল করা হয়। সুপার রফিকুল ইসলাম জাফরীর বিরুদ্ধে নিজ মাদরাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ছাড়পত্র দিতে ৮শ টাকা নিয়েছেন। অন্যতায় তিনি ছাড়পত্র দিতে অনিহা প্রকাশ করেন। অথচ ছাড়পত্র দিতে কোন টাকাই লাগার কথা নয়। গত বছর ওই মাদরাসায় নবীগঞ্জের গজনাইপুর গ্রামের আশিক মিয়ার কন্যা হ্যাপী আক্তার স্নানঘাট এলাকায় তার নানার বাড়ি বসবাস করে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। গত ৭ জানুয়ারি হ্যাপী ও তার অভিভাবক নিয়ে ছাড়পত্রের জন্য গেলে ৮শ টাকা দাবী করেন সুপার রফিকুল। পরে জোর অনুনয় বিনয় করে কমিটির সভাপতি মুদ্দত আলীর সাথে কথা বললে তার বিবেচনায় ৫শ টাকায় ছাড়পত্র নেন। এমনিভাবে স্নানঘাট গ্রামের বাদল মিয়ার কন্যা শিফা আক্তারের জন্যও ৮শ টাকা দাবী করে সুপার। পরে শিফার লোকজন মুদ্দত আলীর সাথে আলোচনাক্রমে ৫শ টাকা দিয়ে ছাড়পত্র নিতে হয়েছে। এই ঘুষ বাণিজ্যের ব্যাপারে শিফার ভাই ডাঃ জুবায়ের আহমদ মুদ্দত আলীর সাথে কথা বললে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি বলে তিনি জানান। মাদরাসার সাবির্ক অনিয়মের দায়ে শিক্ষার মান দিন দিন হ্রাস পাওয়ায় এলাকাবাসীও শংকিত হয়ে পড়েছেন। আশংকা করছেন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.