জুয়েল চৌধুরী ॥ জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ডাক্তার মুশফিক হোসেন চৌধুরীকে হত্যার হুমকিদাতা সন্দেহে আব্দুল জাহেদ (৩৫) নামে এক যুবক কে আটক করা হয়েছে। সে বাহুবল উপজেলার পশ্চিম ভাদেশ্বর গ্রামের রুসমত আলীর পুত্র। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পরিষদ প্রশাসক ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী তার কার্যালয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে প্রেরিত চিঠিটি সাংবাদিকদের সামনে পড়ে শোনান। তিনি জানান, সকালে কার্যালয়ে এসে অন্যান্য চিঠির সাথে এ চিঠিটি পান। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানায় তিনি জিডি করেছেন বলে জানান। সদর মডেল থানার ওসি নাজিম উদ্দিন জানান, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পাঠকদের সুবিধার্থে চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো- “মাননীয় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জনাব মুশফিকুর রহমান সাহেব, সালাম নিবেন, আশা করি ভাল আছেন। আমি মোঃ জায়েদ মিয়া বলছি, আমরা বাহুবলের অধিবাসি, অন্যায় সহ্য করতে পারি না। তোমরা কমতা পাইয়া আমরার উপরে যে জুলুম করতেছ। তা বলার অবকাশ রাখে না। মনে রাকবায় কমতা বেশি দিন থাকত নায়। তোমাদের পিটের চামরা তুলে দিম। অর্থমন্ত্রী কিবরিয়াকে আমরা পরিকল্পনা করিয়া হত্যা করেছিলাম। তোমাদেরকেও আমরা শেষ করে দিব। আমরা একটা তালিকা করে রেখেছি। এই তালিকার মধ্যে যারা রয়েছেন তারা হলেন মুশফিকুর রহমান, আব্দুল হাই বাহুবল, নাজমুল সহ টারগেট করা আরো অনেক। যাদের নাম একন বলব না। তোমরা যে পরিমান দুরনিতি, সন্ত্রাসী, আর অন্যায় করতেছ মনে রেখ পুলিশ বাহিনী তোমাদেরকে চিরদিন পাহারা দিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা বাছিয়া থাকলে আমাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা তোমাদেরকে খতম করে দিব। পাঁচ বছরে তোমরা কি কাজ করছ শুধু নিজের সম্পদ বানাইছ, তোমরা চুর তোমরা ডাকাইত, তোমরা বদমাইশ, সবাই বদলা পাইবায়। নিবেদক- জায়েদ মিয়া, পিতাঃ রুছমত উল্লাহ, গ্রামঃ পশ্চিম ভাদেশ্বর, উপজেলা ঃ বাহুবল, জেলা ঃ হবিগঞ্জ।” এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় জিডি করা হয়েছে। পুলিশ জায়েদকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ ব্যাপারে ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী বলেন, আমি শেখ হাসিনার আদর্শ বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছি। কারো হুমকী ধমকী আমার কার্যক্রমকে স্তব্দ করতে পারবে না। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে নবীগঞ্জের শৈলা গ্রামের সাইদুর রহমানের পুত্র আবিদুর রহমান ও সরাফত উল্লার পুত্র শামীম আহমেদ মোবাইলে হত্যার হুমকী প্রদান করে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। পরে এরা জামিনে গিয়ে বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার গাড়ি চালককে হুমকী প্রদান করে। এব্যাপারে বাহুবল থানার ওসি মোঃ ফরিদ আলী জানান, রবিবার সকালে জাহেদকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। থানায় আটক জাহেদ সাংবাদিকদের জানায়, তাকে কেউ আটক করেনি। সে বাহুবল থানায় আর্তসমপর্ণ করেছে। সে মাননীয় ডাক্তার মুশফিক সাহেবকে হুমকি দেয়নি। তার নাম ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের লোক তাকে ফাঁসিয়েছে।
Leave a Reply