March 22, 2025, 6:28 pm

Exif_JPEG_420

নবীগঞ্জে সরকারী রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা উচ্ছেদের ১৩ দিনের মাথায় ফের বন্ধ, গৃহবন্দি ১৫টি পরিবার

সংবাদদাতা :: নবীগঞ্জ উপজেলার কাজির বাজার- ছোট ভাকৈর রাস্তা হইতে তাজুল্লার মাজার পর্যন্ত সরকারী রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবন্ধিকতা সৃষ্ট করে ১৫টি পরিবারকে গৃহবন্দি করে রাখে জুবায়ের মিয়া নামের এক লোক। নিরুপায় হয়ে গৃহবন্দি লোকজন আদালতের আশ্রয় নিলে বিজ্ঞ আদালত তা অপসারনের জন্য নিদের্শ দেন ওসি নবীগঞ্জ এবং সহকারী  কমিশনার (ভুমি) নবীগঞ্জকে। গত ৩০ এপ্রিল সকালে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অবৈধভাবে রাস্তার উপরে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করে লোকজনের চলাচলের রাস্তা অবমুক্ত করেন এবং জুবায়ের মিয়া ভবিষ্যতে ওই রাস্তায় কোন প্রকার প্রতিবন্ধিকতা সৃষ্টি করবে মর্মে স্টাম্পের মাঝে লিখিত অঙ্গিকারনামা দেন। কিন্তু উচ্ছেদ এবং অঙ্গিকার নামার ১৩ দিনের মাথায় ওই জুবায়ের মিয়া তার লোকজন নিয়ে পুণঃরায় রাস্তার ইট সরিয়ে বাশের বেড়া দিয়ে লোক চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ফলে তার কুটিঁর জোর কোথায়? এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। সুত্রে জানাযায়, ২০০৯ সালে উপজেলার ২ নং বড় ভাকৈর ইউনিয়ন পরিষদ (পুর্ব) উল্লেখিত মাজার রাস্তা ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই রাস্তা ইট সলিং করে দেন। প্রায় ৮ বছর পর ছোট ভাকৈর গ্রামের তোরন মিয়ার পুত্র জুবায়ের মিয়া রাস্তার ইট সরিয়ে রাস্তা বন্ধ করে ঘর নির্মাণ করে লোক চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে প্রায় ১৫টি পরিবার গৃহবন্ধি হয়ে পরে। এ ব্যাপারে ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে ইসমাইল মিয়া হবিগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা নং ৭৯২/১৭ইং (নবী) দায়ের করে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এবং স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে বিজ্ঞ বিচারক রাস্তার উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে লোক চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভুমি) নবীগঞ্জকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে দায়িত্ব প্রদান ও ওসি নবীগঞ্জকে নিদের্শ প্রদান করেন। এক পর্যায়ে প্রভাবশালী জুবায়ের সহকারী জজ আদালত হবিগঞ্জে আপিল মোকদ্দমা নং ৩৩১/২০১৯ইং দায়ের করে। মামলার শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় বহাল রাখেন। উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) একদল পুলিশ নিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে লোক চলাচলের রাস্তা অবমুক্ত করেন। এ সময় জুবায়ের মিয়া ভবিষ্যতে ওই রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না মর্মে একটি লিখিত অঙ্গিকার নামা প্রদান করেন। কিন্তু ১৩ দিনের মাথায় ফের রাস্তায় বেড়া দিয়ে লোক চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় ১৫টি পরিবার গৃহবন্ধি অবস্থায় রয়েছে। বিষয়ের প্রেক্ষিতে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অসহায় গৃহবন্ধি লোকজন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.