জুয়েল চৌধুরী :: প্রচন্ড গরমে হবিগঞ্জে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ডায়রিয়া, আমাশয়, নিউমেনিয়া, সর্দি ও কাশিসহ নানা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এতে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে দুই মৃত্যু হয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ প্রায় শতাধিক লোক হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মাঝে অধিকাংশই রোগীই শিশু। এমন অভিযোগ আছে হাসপাতালে শুধু ২/১ স্যালাইন ছাড়া আর কিছুই দেয়া হয় না। আবার অনেক রোগীরা স্যালাইন না পেয়ে বাহির থেকে কিনে এনে ব্যবহার করছেন।
গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, লোডশেডিং ও লো-ভোল্ডেজের কারণে হবিগঞ্জের জনজীবন যেন স্থবির হয়ে পড়েছে। দিনের খরতাপ আর রাতের ভ্যাপসা গরমে সাধারণ মানুষ কষ্টসাধ্য দিনযাপন করছেন। বিরূপ আবহাওয়ায় দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, আমাশয়, নিউমোনিয়া, ভাইরাস জ্বরসহ পানিবাহিত নানা রোগ। গরম আবহাওয়ায় পানি শ‚ণ্যতার কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। কমবেশি সব বয়সের মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। একই কারণে আমাশয় রোগেরও প্রকোপ দেখা দিয়েছে। শিশুরা ডাইরিয়াসহ নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশিসহ শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছে। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডাক্তার মিঠুন রায় জানান, কয়েক দিন ধরে প্রচন্ড গরমের কারণে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন করে ডায়রিয়া, আমাশয়, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট রোগ নিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সকল রোগীর মধ্যে শিশু ও মহিলার সংখ্যায় বেশী। অনেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। অনেকে আবার বাড়ি থেকে পুনরায় হাসপাতালে ফিরেও এসেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে তিল পরিমাণের ঠাই নেই। প্রায় শতাধিক শিশু রোগি হাসপাতালের ওয়ার্ডে রয়েছে। নার্স ও চিকিৎসকরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। রোগীর স্বজনরা প্রচন্ড গরমে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করছেন। এছাড়া ওয়ার্ডে তিল পরিমাণ জায়গা নেই। অনেকে মেঝেতে পড়ে আছেন। একজন নার্স জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত দুই দিনে শামীম মিয়া ও অপু দাস নামে দুই শিশু মারা গেছে।
Leave a Reply