March 22, 2025, 7:33 pm

গিরগিটির মতো রঙ পাল্টাচ্ছে হবিগঞ্জের হারবাল প্রতিষ্ঠানগুলো শহরে আলীম হারবালসহ ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ॥ এক হারবালকে সিলগালা

এম এ আই সজিব ॥ হবিগঞ্জ শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো আবারো গজিয়েছে তথাকথিত হারবাল চিকিৎসালয়। এসব চিকিৎসায় প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাম গঞ্জ থেকে আসা সাধারণ মানুষ। তাদের কুরুচিপূর্ণ বিজ্ঞাপন ও প্রচারণার কারণে স্কুল-কলেজে আসা যাওয়ার পথে শিক্ষার্থীরা লজ্জায় বিব্রতবোধ করছে। স্থানীয় পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসনের নজরে আসে। গতকাল রবিবার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি ধরের নেতৃত্বে এক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় কোর্ট স্টেশন রোড এলাকায় আলীম হারবাল সেন্টারকে মেয়াদ উর্ত্তীণ ও অবৈধ ঔষধ রাখার অভিযোগে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া শায়েস্তানগর এলাকার আধুনিক ইউনানী হারবাল (সাবেক কলিকাতা হারবাল) সেন্টারকে লাইসেন্স ও নাম পরিবর্তনের অভিযোগে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ সিলগালা করে দেয়া হয়। এছাড়া সবুজবাগ এলাকার মর্ডান ডায়গনিষ্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স এর মেয়াদ না থাকায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কোর্টকে সহযোগিতা করেন সদর এসআই কৃষ্ণ মোহন দেবনাথ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, সরকারী ছুটি ব্যাতীত প্রতিদিন চলবে। উল্লেখ্য মাস ছয়েক পূর্বে মোবাইল কোর্ট শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন হারবাল প্রতিষ্ঠানকে মোটা অংকের টাকা জরিমানা, সিলগালাসহ কারাদন্ড প্রদান করেছিল। এসময় শায়েস্তাগঞ্জের রাসেল হারবাল, শায়েস্তানগরের কলিকাতা হারবালকে সিলগালা করে দেয়। তৎকালীন পরিচালিত মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছিলেন, তারা যেন হবিগঞ্জে তাদের অবৈধ প্রতিষ্ঠান ফের চালু করতে না পেরে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই স্থানীয় কিছু পাতি নেতাদের সহযোগীতায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাদের প্রতিষ্ঠানটি ফের চালু করে। এর মধ্যে কলিকাতা হারবাল নাম এবং হাকিম ও ডাক্তার পরিবর্তন করে আধুনিক ইউনানী হারবাল সেন্টার এবং নতুন ব্রীজ এলাকার ইন্ডিয়ান হারবাল সেন্টারের নাম পরিবর্তন করে পাহাড়ী হারবাল সেন্টার করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, হারবাল সেন্টারগুলোর মালিকরা প্রশাসনের চোখকে ফাকিঁ দিতে গিরগিটির মতো ঘন ঘন রঙ বদলাচ্ছে। তারা ‘হারবাল’ নামের বদলে ‘ইউনানী’ ব্যবহার করছে। এছাড়া কোনো কোনো হারবাল সেন্টারে ঔষধের বদলে ঔষধের বোতলে বিভিন্ন নেশা জাতীয় ঔষধ বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের ঔষধে নেশা হচ্ছে বলে এক শ্রেণীর উঠতি বয়সী যুবকরা তাদের প্রতিষ্টানে ভিড় জমাচ্ছে। সচেতন মহল মনে করছেন, এবারের মতো, আগামীতেও তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। প্রশাসনের প্রতি জনসাধারণের দাবী প্রশাসন যেন, তাদের অভিযান পরিচালনায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.