,

২০ হাজার নাকি, ২ হাজার! কোথায় গেল বাকী ১৮ হাজার? শহর জুড়ে নানা গুঞ্জন হবিগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহর থেকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ভারতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার নিয়ে রহস্য শুরু হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কয়টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে, তা নিয়ে দিনভর নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে ২০ হাজার বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এর সংখ্যা কত ছিল, পুলিশ ও আসামী ছাড়া এই মুর্হুতে কারো জানা নেই? গতকাল বিকেলে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করে যখন সদর থানায় নিয়ে আসা হয়, খবর পেয়ে সাংবাদিকরা থানায় ছুটে গেলে রহস্যজনক কারণে তাদেরকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলছেন সাংবাদিকরা। এনিয়ে পুলিশ-মাদক ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ জনমনে বিরূপ প্রতিক্রীয়া সৃষ্টি হয়েছে! গোপন সুত্রে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া ইয়াবার সংখ্যার ব্যাপারে জানতে চাইলেও সাংবাদিকদের এড়িয়ে যায় পুলিশ। পরে রাতে সংক্ষিপ্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২ হাজার ৫ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে! এমন সংবাদ শুনার পরপরই সাংবাদিকরা বিস্ময় প্রকাশ করে ফেটে পড়েন কৌতুহল! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সাংবাদিক জানান, উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশ সদস্যরা বিকেলে তাদের জানিয়েছিল, ২০ হাজার পিছ ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে! এই আলোকে অনেকে জাতীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ পাঠিয়ে দেন। এর প্রেক্ষিতে কয়েকটি টিভিতে ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে মর্মে সংবাদ দেখানো হয়! মুর্হুতের মধ্যে হবিগঞ্জ শহরে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধারের খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার বিকেল তিনটার দিকে সোর্স মারফত খবর পেয়ে সদর থানার ওসি (তদন্ত) বিশ্বজিৎ দেবের নেতৃত্বে এসআই খন্দকার আল মামুন, মিজানুর রহমান মিজান, এ.এস.আই নুরে আলমসহ একদল পুলিশ শহরের মোহনপুর বাইপাস এলাকার জনৈক আরজু মিয়ার বাসায় অভিযান চালান। এসময় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ হবিগঞ্জ শহরতলীর বহুলা গ্রামের তজমুল হোসেনের ছেলে মনির হোসেন নাজমুল (২৫) ও বাহুবল উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের আলতা মিয়ার ছেলে বাস হেলপার কাজল মিয়া (২৭) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ও জাতীয় এবং টিভি সাংবাদিকরা থানায় গিয়ে কতগুলো ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে জানতে চাইলে পুলিশের তরফ থেকে বলা হয় প্রায় ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে! এই আলোকে জাতীয় ও টিভি সাংবাদিকরা সংবাদ প্রেরণ করেন। এদিকে রাতে ওসি তদন্ত সাংবাদিকদের জানান, ২০ হাজার হবে কেন? ২ হাজার ৫ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অনেকেই এ প্রতিবেদকের নিকট ফোন করে জানতে চেয়েছেন প্রকৃতপক্ষে কতটি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ২০ হাজার না, ২ হাজার! যদি ২০ হাজার উদ্ধার করা হয়ে থাকে, বাকী ১৮ হাজার গেল কোথায়???


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.