নিজস্ব প্রতিনিধি : নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নে ‘ভূয়া টিপসই দিয়ে চাল আত্মসাৎ’ এবং ‘গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক ১০ টাকা কেজি দরের চালের সরকারী কার্ড ছিড়ে ফেলা প্রসঙ্গে সংবাদ প্রকাশের পর উদীয়মান সাংবাদিক জয়যাত্রা টিভি ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার প্রতিনিধি সাংবাদিক ছনি চৌধুরীকে মোবাইল ফোনে হুমকির প্রেক্ষিতে আজ ৯মে (শনিবার) বিকেলে নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন ছনি চৌধুরী। তিনি তার
অভিযোগে বলেন, সম্প্রতি নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নে ‘ভূয়া টিপসই দিয়ে চাল আত্মসাৎ’ প্রসঙ্গে ১৫ জন ভুক্তভোগী এবং পরের দিন ‘গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক ১০ টাকা কেজি দরের চালের সরকারী কার্ড ছিড়ে ফেলা প্রসঙ্গে’ এক মহিলা ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। এই দুই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অন্যান্য সাংবাদিকদের পাশাপাশি ছনি চৌধুরীও তার কর্মরত মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করেন। এর জের ধরে গত ৮ মে শুক্রবার বেলা ১.২৭ ঘটিকার সময় ০১৫৩৭৫১৩০০২ নাম্বর থেকে সাংবাদিক ছনির ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭৭৮ ৯৯২২২৭ নাম্বরে একটি কল আসে। সাংবাদিক ছনি চৌধুরী ফোন রিসিভ করার পর অপর প্রান্ত থেকে জনৈক লোক প্রথমে তাকে হুশিয়ারি দেয় সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে। আর সংবাদ প্রকাশ করলে তার ক্ষতি হবে বলেও হুমকি দেয়। এমনকি তাকে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া সাংবাদিক জুনাইদ আহমেদের মতো ছনি চৌধুরীকেও হত্যা করে টুকরো টুকরো করার হুমকি দেয় ওই অজ্ঞাত লোক। অজ্ঞাতনামা লোকের ওই হুমকিতে ছনি ও তার পরিবার পরিজন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে সাধারণ ডায়রীতে উল্লেখ করেছেন। ছনি চৌধুরী তার স্কুল পড়ুয়া ভাই বোনসহ পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। জিডিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রায়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে আবেদন করার পর আবেদনটি সাথে সাথে ডায়রীভূক্ত করে তদন্তের জন্য অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানাগেছে। এদিকে নবীগঞ্জ প্রয়াত সাংবাদিক স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক, নবীগঞ্জ উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সদস্য ছনি চৌধুরীকে হুমকির প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের সকল সংগঠনের মাঝে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
Leave a Reply