আক্রান্তের হার বৃদ্ধির আশংকায় সাধারন মানুষ
উত্তম কুমার পাল হিমেল : নবীগঞ্জ উপজেলায় গতকাল ১০মে রবিবার সব ধরনের শপিংমল অন্যান্য দোকানপাট খোলার প্রথম দিনেই ক্রেতাদের উপছেপড়া ভীড় পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে কাপড়ের দোকানগুলোতেই পুরুষ ও মহিলা ক্রেতেদের বূড়ে দেখে যেন মনে হচ্ছে করোনা নামক কোন ভাইরাসের কোন ধরনের আক্রান্তের ভয় নেই তাদের মাঝে। মুখে মাস্ক,সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা,হ্যান্ড সেনিটারাইজার ব্যবহার,স্বাস্থ্যবিধি পালনের কোন বালাই নেই যেন তাদের মাঝে। অনেক দোকানেই ঘেষাঘষি করে কাপড় ক্রয় করতে দেখা গেছে। আর কোন দরাকান বা মার্কেটের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা তো দুরের কথা দোকানের ভিতর একজন আরেকজনের সাথে ঘেষে যেন কেনাকাটা করছেন। মানুষের উপছেপড়া ভীড় দেখে মনে হচ্ছে যেন অনেকদিন পর সবাই ছাড়া পেয়েছে। বিষয়টি অনেক সচেতন মানুষের মাঝে নাড়া দিলেও কে শোনে কার কথা ভেবে কেউ মুখ খোলছেন না। ব্যবসায়ী সাধন চন্দ্র দাশ জানান,দোকান পাট খোলার প্রথম দিনেই মানুষের প্রচুর বীড় দেখা যাচ্ছে। বাজারে আসা বেশিরভাগ মানুষেরই মুখে মাস্ক নেই দেখে বুঝা যাচ্ছে করোনা ভাইরাস চলে গেছে।
নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী বলেন, মহামারী ভাইরাস এড়াতে এখন দোকানপাট খোলা না রাখাই ভাল। তবে কেউ যদি জীবিকার তাগিদে ব্যবসা প্রতিষ্টান খোলা রাখেনই তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, আমরা নবীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিসহ ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠকে বসব। করোনা ভাইরাস একটি আন্তর্জাতিক ও সার্বিক সমস্যা। তাই এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ রাখে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই ভাল।
উল্লেখ্য ৪ দফায় নবীগঞ্জে এই পর্যন্ত ৩ জন স্বাস্থ্য কর্মী,১ জন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ মোট ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নবীগঞ্জে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষের মাঝে মারাত্মক আতংক দেখা দিয়েছে। অনেকেই ভাবছেন বর্তমান সময়ে আগামী ১৭ মে থেকে গণপরিবহন চালু হওয়ার পর এই আক্রান্তের হার আরো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে এ পর্যন্ত ৩৭৬ জনের নমুনা প্রেরন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১২ জনের পজেটিভ এবং ১৭৮ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।
Leave a Reply