দুলাল ছিদ্দিকী : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের বানেশ^র এলাকার কৃষি জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করার ফলে সফলি জমি নষ্ট করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। বাণেশ^র গ্রামের হাজী আশরাফ আলীর ছেলে হাফেজ মোবারক তাদের পারিবাকি জমি ক্ষতির অভিযোগ এনে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বানেশ^র গ্রামের উসমান মিয়র ছেলে লুৎফুর রহমান ও অলিউর রহমান সহ কয়েকজন মিলে ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর হাফেজ মোবারক মিয়ার জমির দক্ষিন পশ্চিম দিকে ২ টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে গর্ত সৃষ্টি করে। এতে হাফেজ মোবারক মিয়ার জমির বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে গর্তে পরে যায়। এ ঘটনায় হাফেজ মোবারক উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাটি কাটা বন্ধ রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সম্প্রতি তারা আবার মাটি ও বালু উত্তোলন করার চেষ্টা করলে গত ৬ এপ্রিল হাফেজ মোবারক উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৫ মে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ঘটনাস্থল সরজমিন পরিদর্শন করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধ করতে নিষেধ করেন এবং পাইপ ধ্বংস করেন। গত ৬ মে লুৎফুর রহমানের লোকজন গভীর নলকূপ চালু করে। এতে হাফেজ মোবারকের ধানি জমি বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। গত ৭ মে হাফেজ মোবারকের পিতা জমির পাশে গিয়ে এ অবস্থা থেকে প্রতিবাদ করলে লুৎফুর রহমান ও অলিউর রহমান হাজী আশরাফ আলীর উপর হামলা করে আহত করে। এ ঘটনায় হাফেজ মোবারক বাদি হয়ে লুৎফুর রহমান সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মাধবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লুৎফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মোবারক মিয়ার অভিযোগ মিথ্যা। এ ব্যাপারে এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি ও জমিটি সরজমিন গিয়ে দেখা হয়েছে। উধ্বর্তন কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply