প্রেস বিজ্ঞপ্তি : করোনা ভাইরাস বর্তমানে একটি বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশেও এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রত্যেক সেনাসদস্যকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সেনাবাহিনী প্রধান বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করে আসছেন।সারাদেশের সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের অংশ হিসেবে সিলেট বিভাগের চার জেলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান বা চড়বিৎ এর আওতায় সেনাসদস্যগণ নিয়োজিত রয়েছেন। জিওসি ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সিলেট এরিয়া মেজর জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, এসইউপি, এনডিইউ, পিএসসি এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্ববধানে ১৭ পদাতিক ডিভিশন সিলেট বিভাগের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির টহল দল কর্তৃক ২৩ মে ২০২০ তারিখে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রান্তিক চাষীদের মাঝে কৃষি বীজ, কীটনাশক ও সার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এছাড়াও, দেশের এই ক্রান্তিকালে মুজিব শতবর্ষের শুভেচ্ছা স্বরূপ ঈদ উপহার হিসেবে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার ২৬ টি এতিমখানায় খাদ্যদ্রব্য ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে এবারের ঈদ প্রতিবারের চেয়ে একদমই ব্যতিক্রম। পবিত্র ঈদ’কে সামনে রেখে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সেনাবাহিনী বিভিন্ন সতর্কতামূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে জীবাণুমুক্তকরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মসজিদে মসজিদে জীবাণুনাশক ছিটানোসহ মসজিদ কর্তৃপক্ষের নিকট হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে এবং গরীব অসহায় পরিবারের জন্য বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও নিয়মিত সচেতনতামূলক প্রচারণা টহলসহ অন্যান্য কার্যক্রমও চলমান রেখেছেন।করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসেবে সেনাসদস্যগণ মূলত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, যেকোন সমাবেশ বা জনসমাগম প্রতিহত করা এবং বিদেশ প্রত্যাগত ও সন্দেহভাজন সংক্রমিত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা প্রদান করছে। এ সময় সেনাসদস্যগণ অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রণ, অননুমোদিত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধ দোকানপাট বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়াও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেনাসদস্যগণ দুস্থ জনগণের মাঝে নিয়মিত ত্রাণ বিতরণ করছেন। সমাপ্ত
Leave a Reply