,

ফ্রিজ ছাড়াই খাবার সংরক্ষণের উপায়!

সময় ডেস্ক ॥ ফ্রিজে সহজে খাবারের ব্যাকটেরিয়া জন্মায় না, তাই খাবার থাকে একদম তাজা। কিন্তু মাঝে মাঝেই ইলেক্ট্রিসিটি লম্বা সময়ের জন্য চলে যায়, আর সেসময় ফ্রিজে সব খাবার, মাছ, মাংস, যা খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হতে শুরু করবে, তখন কী করবেন আপনি? হয়ত সব পঁচে গেলে আপনাকে ফেলে দিতে হবে। কিন্তু কখনো কী ভেবে দেখেছেন যে আপনি ফ্রিজ ছাড়াই আপনার খাবার সংরক্ষণ করতে পারবেন? মানুষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে খাবারকে প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষণের জন্য। আপনিও আপনার খাবার সহজ কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজেই ফ্রিজ ছাড়া লম্বা সময়ের জন্য একদম টাটকা রাখতে পারেন। এসব পদ্ধতি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে খাবার সংরক্ষণ করার জন্য এবং শরীরের কোনো ক্ষতি ছাড়াই। জেনে নিন সেরকম কিছু পদ্ধতি। মুরগীর মাংস: যদি মুরগীর মাংস সংরক্ষণ করতে চান তাহলে এর পানির কন্টেন্ট কমিয়ে ফেলতে হবে, যেন তা সহজে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত না হয়। মাইক্রোওয়েভে কিছুক্ষণের জন্য রাখুন বা একে ভেজে ফেলুন। এরপর তা একটি বাটিতে রাখুন আর পাতলা সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। সবজি: আপনি সবজি কেটে সেগুলো রোদে শুকাতে দিন যেন তার আদ্রতার পরিমান কমে যায়, যেন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ না হয়। আর শুকনো সবজির স্বাদও কিন্তু দারুন! আপনি চাইলে ভেজেও রাখতে পারেন দুই থেকে তিন দিনের জন্য, তবে এর বেশি না। এভাবে আপনি ফ্রিজ ছাড়াও সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন সবজি। দুধ: দুধ শুধুমাত্র একটি উপায়েই সংরক্ষণ করতে পারেন- তা হলো দুধকে ফুটিয়ে। দুধকে ফুটতে দিন এবং এর মধ্যে এক চা চামচ পরিমান মধু দিন। এবার দুই থেকে তিন দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে তা দিনে দুইবার ফুটিয়ে নিন, সকাল এবং সন্ধ্যা। দুধ ফুটানোর পর তাতে মধু মিশিয়ে নেয়া, দুধ সংরক্ষণ করার সবচেয়ে ভালো উপায়। মাখন এবং জ্যাম: আপনি যদি দোকান থেকে জ্যাম আর বাটার কিনে আনেন তবে তাতে ক্যামিকাল প্রিজারভেটিভ দেয়া আছে। কিন্তু যদি আপনি ঘরে তৈরি করেন তবে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তাই বোতলগুলো ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। একটি বড় বাটিতে পানি নিন এবং বোতলগুলো তাতে ডুবিয়ে রাখুন। বিস্কিট এবং স্ন্যাকস: আসলে এগুলো এমনিতে সহজে নষ্ট হয় না। কিন্তু নরম হয়ে যেতে পারে বা টাটকা ভাব নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এর থেকে রক্ষা পেতে এয়ার টাইট বক্সে রাখুন। খেয়াল রাখুন যেন বাতাস এর ভেতর না ঢুকতে পারে। আপনি চাইলে পলিথিন ব্যাগে সিল করে রাখতে পারেন। এটা হলো সবচেয়ে সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি। ডিম: ডিম খুব তাড়াতাড়ি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়। তাই আপনি যদি একে সংরক্ষণ করতে চান তবে আপনি দুইটি জিনিস করতে পারেন। ১) কলের ঠান্ডা পানিতে একে ডুবিয়ে রাখুন, অথবা ২) সিদ্ধ করে বা ভেজে রাখতে পারেন। এই সিদ্ধ বা ভাজা ডিম একটি বাটিতে রেখে তা কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখুন। চাইলে বাজার থেকে আইস ব্যাগ কিনে আনুন আর সেখানে ডিমগুলো রাখতে পারেন। বাদাম: বাদাম খুব সহজেই নষ্ট হয় না। কিন্তু যদি তা আদ্র আবহাওয়ার মধ্যে থাকে তাহলে খুব সহজেই পোকা দ্বারা আক্রান্ত হয়। এর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাদামগুলো রোদে শুকিয়ে নিন যেন ভেতরের ময়েশ্চার চলে যায়। এরপর এয়ার টাইট কন্টেইনারে রাখুন। প্রতিদিন এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন পোকা মাকড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। দই: দই খুব সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। তাই দুই থেকে তিন চামচ মধু এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য। মধু খুব ভালো প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ। এটাই হলো সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া প্রিজারভেশন পদ্ধতি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
×

Like us on Facebook

Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.