March 23, 2025, 5:23 am

মিথ্যা প্রমান হওয়ায় প্রতারক সোহেলকে পুলিশে সোর্পদ ॥ মুছলেখা দিয়ে মুক্তি

জসিম তালুকদার ॥ নবীগঞ্জে আগের দিন টাকা পেয়ে পর দিন এক মৃত ব্যক্তির পরিবারের নিকট ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা দাবী করে এক প্রতারক। কিন্তু মৃত ব্যক্তি মৃত্যুর আগের দিন ওই টাকা এক্সিম ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করার প্রমাদি পেয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দ প্রতারক সোহেল মিয়া (৩৫)কে পুলিশে সোর্পদ করেছেন। কয়েক ঘন্টা পর মুছলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে সুত্রে জানাগেছে। সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ঘোলডুবা গ্রামের মৃত আতর আলীর ছেলে সোহেল মিয়া সম্প্রতি শহরের ব্যবসায়ী দিলাওর মিয়ার নিকট ২ লাখ ৯০ হাজার টাকার বিনিময়ে ১৯ শতক জমি বিক্রি করে। কথা থাকে রেজিষ্ট্রারী করে দেয়ার পর নবীগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা মরহুম মোতাহির মিয়ার নিকট থেকে টাকা বুঝে নিবে। সে মোতাবেক গত ৯ মে উক্ত জমি রেজিষ্ট্রারী করে ১০ মে মোতাহির মিয়ার নিকট টাকা আনতে যায়। মোতাহির মিয়া নবীগঞ্জ এক্সিম ব্যাংকে তার একাউন্ট থেকে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করে সোহেলকে বুঝিয়ে দেন। যা ওই ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা রয়েছে। কিন্তু গত ১১ মে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা মোতাহির মিয়ার মৃত্যু ঘটলে উক্ত প্রতারক সোহেল মিয়া মৃতের পরিবারের নিকট ওই টাকা দাবী করে। তবে মৃতের পরিবার এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্টানের কর্মচারীরা সোহেল মিয়ার টাকা পরিশোধের বিষয়টি অবগত থাকায় প্রতারকের ঘটনা নিয়ে ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দ ওই প্রতারককে নিয়ে বৈঠকে বসলে সোহেল মিয়া জানায়, তার সাথে মোতাহির মিয়ার ১০ মে সকাল ৮টার দিকে দেখা হয়েছিল। এ সময় সে টাকা না নিয়ে শ্রীমঙ্গলে ব্যক্তিগত কাজে চলে যায়। সেখান থেকে ১১ মে রাতে মৃত্যুর খবর পায়। বৈঠকের নেতৃবৃন্দ তার কথাবার্তায় অসংগতি পেয়ে এক্সিম ব্যাংকে নিয়ে যান। সেখানে ১০ মে বেলা ১২.৫ মিনিটে সোহেল ওই ব্যাংকে যায়। এ সময় মোতাহির মিয়া তাকে আমানত টাকা পরিশোধ করেন। এ দৃশ্য ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত থাকায় নেতৃবৃন্দ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতারককে পুলিশে সোর্পদ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাহিদ আহমদ, পৌর কাউন্সিলর সন্তোষ দাশ, কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাহাব উদ্দিন আহমদ, ব্যবসায়ী কাপ্তান মিয়া প্রমূখ। আটককৃত সোহেল লোভের বশিভুত হয়ে ওই টাকা পাওনার নাটক সাজায় বলে স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটানোর জন্য মুছলেখা দিয়ে মুক্তি পায়। পাশাপাশি মিথ্যা দাবী করায় মৃতের পরিবারের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করার অঙ্গিকার করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.