,

তথ্য সংগ্রহ করতে দশ বছর ধরে ছুটছে নাসা!

জানা অজানা ডেস্ক : সৌরজগতের একেবারে শেষ মাথায় একটি গ্রহ হলো প্লুটো। এই গ্রহটির সম্পর্কে এখনো খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। এই প্লুটোর অভিমুখে গত ১০ বছর ধরে ছুটছে নাসার একটি মহাকাশযান। সূর্য থেকে দূরত্বের বিচারে প্লুটো হচ্ছে সৌরজগতের নবম গ্রহ। এই গ্রহটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে ছুটে চলেছে নাসার নিউ হরাইজন মিশন। এখনো এই মহাকাশযানটি আছে প্লুটো থেকে ৪০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে। এই যাওয়ার পথে একের পর এক ছবি তুলে যাচ্ছে গ্রহটির। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই অভিযান তাদের জন্যে অনেক বড়ো একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ পৃথিবী থেকে মঙ্গল যতোটা দূরের এই গ্রহটি তারচেয়েও চল্লিশ গুণ বেশি দূরে। জেট বিমানে করে গেলে এই গ্রহে গিয়ে পৌঁছাতে লাগতো ৭শ বছর। আর সম্ভব হতো না এতটা পথ পাড়ি দেওয়ার জালানী সংগ্রহে রাখাও। প্লুটোর দিকে নিউ হরাইজন ছুটছে সেকেন্ড ১৪ কিলোমিটার গতিতে। এই যানটি যাচ্ছে গত দশ বছর ধরে। এই গ্রহ অভিমুখে নাসার অভিযান নিয়ে সংস্থাটির একজন বিজ্ঞানী ড. অমিতাভ ঘোষের সঙ্গে বিবিসির সাক্ষাৎকারটি আমাদের সময়.কম পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো বিবিসি : এই মিশনের লক্ষ্য কি? বিজ্ঞানী ড. অমিতাভ ঘোষ : আমাদের সেলো সিস্টেমে বিভিন্ন রিজেন আছে। মার্জ অবধি বলে রকি প্যানেল। তারপর হচ্ছে আইসি চ্যানেল, এরপর বলে কৌশর ব্যাল্টবধিকস। এই প্লুটো কৌশর ব্যাল্টবধিকস এর কাছাকাছি। এরপর সেলো সিস্টেমের মিটেরিয়ালে জেন্সর দেয়। ফলে এর ডিসপ্রিস আরম্ভ হয়ে যায়। প্লুটোতে যাবার উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে করে প্লুটোটা সার্চস্টাডি করা যায় এবং কৌশর ব্যাল্টবধিকস স্টাডি করা যায়। বিবিসি : প্লুটোকে সূর্যের নবম গ্রহ বলা হয়। এখন সেখানে যদি যাওয়া সম্ভব হয় তবে এর তাৎপর্য কি হবে? বিজ্ঞানী ড. অমিতাভ ঘোষ: আমাদের জানা দরকার বিভিন্ন ক্ল্যানেট কোথায় কেমন আছে। এই ক্ল্যানেটগুলো কিভাবে তৈরি হয়েছে তা আমাদের জানতে হবে। তা ডন মেশিন থেকে ফ্রি হয়ে যাচ্ছে। এখানে বলা সত্য যে কি পাব কিন্তু ফাস্ট অর্ডারে বলতে পারেন আমাদের প্লুটোটা, কি আছে এতে। বিবিসি : এ পর্যন্ত গ্রহটির ছবি থেকে কি কিছু জানা যাচ্ছে? বিজ্ঞানী ড. অমিতাভ ঘোষ: এখনও তেমন কিছু জানা যায়নি। এখন যেটা দেখা যাচ্ছে যে দুই রকম ক্র্যান আছে। কিছু ক্র্যান অন্ধকারের মতো আর কিছু ব্রাইট। তবে অনেক দূরে যাওয়া খুব কঠিন। আর এই চেষ্টাতেই দশ বছর লেগে গেল। বেশি দিন আগে কিন্তু এই প্লুটো গ্রহ আবিষ্কৃত হয়নি। জানা যায় ১৯৩০ সালে এটা ধরা পড়েছে। বিবিসি : এখন পর্যন্ত এই গ্রহটা সম্পর্কে কি জানা গেছে? এটা কি একটি ইউনিক, অদ্ভুত রকমের গ্রহ। আর কি জানতে পেরেছেন এ সম্পর্কে? বিজ্ঞানী ড. অমিতাভ ঘোষ: এখনো ডিটোসপ্যাটি স্টাডিস থেকে বলা যায়- পৃথিবী থেকে হয়তো ১শ ভাগ একমোসিবিক পেশার আছে। সাস্ক্যান স্পিটার হলো -২শ’ ডিগ্রি কম ও তলায় জল থাকতে পারে। এমন কি সমুদ্রও। বিবিসি : যদি সেখানে জল, বরফ, সমুদ্র থাকে তবে ওইখানে প্রাণ আছে এরকম ওয়াইল্ড হলেও ধারণা বা আশা করা যায়? বিজ্ঞানী ড. অমিতাভ ঘোষ: কিছুই অনুমান করা যায় না। কেন না আমরা যখন মেসর্টে প্রাণের সন্ধান শুরু করি। আর এ ছিলো ১৯৯৫ সালের পর এক্সোট্রিয়াসেলস প্রাণ। তখন আমরা একটা লাইফে এক্সিম্যান্ট বার্নস্টাডিস করি। অন্যান্য মিশনে মহাকাশ যান যেমন মঙ্গল গ্রহে কিম্বা চাঁদে অবতরণ করেছে, কিম্বা চারপাশে ঘুরে বেড়িয়েছে এই মিশনে সেরকম হবে না। কারণ প্লুটোতে নামতে হলে রোভারের গতি কমাতে হবে ৯০ ভাগ। তারপর ঢুকে পড়তে হবে প্লুটোর গ্র্যাভিটির ভেতরে, গ্রহটির কক্ষপথে চড়ে বসার জন্যে। আর ঠিক এই কাজটা করতে যতোটা জ্বালানীর প্রয়োজন হবে সেটাও ওই যানটিতে বহন করা অসম্ভব। ফলে এই যানটি ছুটে চলে যাবে প্লুটোর পাশ দিয়ে। আর তখনই যেসব ছবি তুলতে হবে পরীক্ষা চালানোর জন্য। আর এই চলে যাওয়ার সময়ের মধ্যেই এ পরীক্ষাটা করে নিতে হবে। বিবিসি : ভূমিকম্প ঠেকানো যাবে কি? বিজ্ঞানীরা এখন ইচ্ছে করেই মাটিতে বড়ো ধরনের কম্পনের সৃষ্টি করছেন। কারণ তারা বলছেন যে, এই বিজ্ঞান থেকেই ভূমিকম্প প্রতিরোধ করাও যেতে পারে। এই কম্পন ফ্র্যাকিংয়ে সাহায্যে সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তিটি হচ্ছে এরকম- শক্তি বা উচ্চ চাপ প্রয়োগ করে মাটির গভীরে তরল পদার্থ প্রবেশ করানো, যাতে বিভিন্ন স্তরের বাধা ভেঙ্গে সেখানে একটা রাস্তা তৈরি হয়। সাধারণত ভূ-গর্ভে আটকে পড়া প্রাকৃতিক তেল বা গ্যাস উত্তোলনের জন্যে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এই প্রযুক্তিকে ঘিরে বিতর্ক আছে কারণ একে দায়ী করা হচ্ছে ভূমিকম্পের জন্যেও। ফ্রান্সে বিজ্ঞানীরা মাটির গভীরে চাপ দিয়ে পানি প্রবেশ করিয়ে দেখতে চাইছেন এর কি ধরনের পরিণতি হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূমিকম্প হয় কারণ পাথরের মধ্যে একটা চাপের সৃষ্টি হয়। মাটির গভীরের ওই ফল্ট বা ত্রুটিতে যখন পরিবর্তন আসে, তখন সেটা ওই চাপ কমাতে সাহায্য করে। তারা আরো বলছেন, এই ত্র“টির চারপাশে ইলাস্টিক কিছু মাধ্যম আছে। আর একারণেই ভূগর্ভস্থ ওই ত্রুটির ভেতরে কম্পনের সৃষ্টি হয়। স্থিতিস্থাপকতার কারণে ওই চাপ মুক্ত হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ অন্যভাবে আমরা বলতে পারি যে এই চাপ কমানোর মাধ্যমে এখন ভূমিকম্পও ঠেকানো যেতে পারে। আর তাই বিজ্ঞানীরা এখন এই স্বপ্নদেখতে শুরু করেছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
×

Like us on Facebook

Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.