নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেওয়ার কারনে স্ত্রী ও অবুজ সন্তান বর্তমানে অনাহারে দিনাতিপাত করছে। নিরুপায় হয়ে স্ত্রী তার স্বামীর উপর হবিগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করে বিবাদীরা প্রবাবশালী হওয়ায় মামলাকে ভিন্ন কাতে প্রবাহিত করার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেেছ। মামলার বিবরনে জানাযায়,নবীগঞ্জ উপজেলার ৪ নং দিগলবাক ইউনিয়নের বোয়ালজুর গ্রামের রতœা রানী দেবের সাথে বিগত ২০০৮ সালে বালাগঞ্জ উপজেলার বড়চর গ্রামের লুকেশ দাশের পুত্র হীরেন্দ্র দাশের বিয়ে হয়। এ সময় রতœা রানী দেবের একটি মেয়েসহ দ্বিতীয় বিয়ে জেনে ও হীরেন্দ্র দাশ নিজের প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে বিয়ে করেন। যার কারনে ভবিষ্যতে তাদের মাঝে বনিবনা না হলে বা স্ত্রীর মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হলে নগদ ১ লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে বলে হীরেন্দ্র দাশ ৫ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে অঙ্গীকার নামায় স্বার করে। তাদের সুখের সংসারে এ সময় হৃদয় দাশ নামে ১ পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। কিন্ত কিছুদিন যেতে না যেতেই স্ত্রী ভরনপোষন না দিয়ে উল্টো তার কাছে দোকান দেওয়ার জন্য নগদ ৩০ হাজার টাকা দাবী করলে হীরেন্দ্র দাশের সব চলচাতুরি ধরা পড়ে রতœা দেবের কাছে। গ্রাম্য সালিশের কাছে কয়েকবার এর বিচার চেয়েও কোন বিচার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তার ভরপোষন দাবী করে বিগত ২০১৪ইং সালে ২৭ শে মার্চ হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে হীরেন্দ্র দাশকে প্রদান আসামী করে ৩ জনের বিরুদ্ধে ১১(গ)৩০ ধারায় ৩৩০/১৪ নং মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলে জন্য নবীগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামকে প্রেরন করেন। এখন চরম বিপাকে পড়েছে। বর্তমানে রতœা রানী দেব ১ কন্যা সন্তান ও ১ পুত্র সন্তান নিয়ে অনাহারে দিনাতিপাত করছে। এ ব্যাপারে অসহায় রতœা রানী আইনের সহযোগীতার কামনা করেন।
Leave a Reply