স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্কপুর ইউনিয়নের সুলতানশী গ্রামে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দেবর ভাবী ধরাশায়ীর ঘটনা শালিশে নিস্পত্তি হয়েছে। দেবর সোহেলকে এক লক্ষ টাকা তার ভাই কুদরত আলীকে জরিমানা ও এক লক্ষ টাকার কাবিন নামায় তার ভাবীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় রসালো আলোচনার ঝড় বইছে। গত শনিবার বিকালে এ ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, ওই গ্রামের দিন মজুর কুদরত আলীর সাথে শরিফপুর গ্রামের আব্দুল রাজ্জাককের কন্যা শকুর চাঁন বিবি (৩০) এর বিয়ে হয়। বিয়ে পর তাদের কোল জুরে দুইটি সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। প্রথম সন্তান স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ শ্রেণী ছাত্রী। ২য় সন্তান ২ বছরের। কুদরত বাড়ীতে না থানার সুযোগে তার চাচাত ভাই আনছব উল্লাহ পুত্র, মেরিট সিগারেট কোম্পানির সেলস ম্যান সুহেল মিয়া (২৫) এর সাথে পরকিয়া সর্ম্পক গড়ে উঠে। স্বামী কুদরত আলী বাড়ীতে না থানার সুযোগে সুকুর চাঁন ও সুহেল প্রায়ই গোপনে অভিসারে মিলিত হত। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বৃষ্টির কারণে বাড়ী খালি থাকায় কুদরত আলী বসত ঘরে দরজা বন্ধ করে দু জনে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। বৃষ্টি দিন হওয়াতে কুদরত আলী কাজ শেষ হওয়ায় অন্য দিনের চেয়ে ওই দিন একটু তাড়াতাড়ি চলে আসে। তার বসত ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পায়। কুদরত আলীর সন্দেহ হলে সে দরজায় আড়িপেতে পিস পিস শব্দ শুনে। অবস্থার বেগতিক দেখে কুদরত আলী আশে পাশের লোকজন কে ডেকে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে অনৈতিক অবস্থায় আটক করা হয়। পরে স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ আলীকে খবর দেওয়া হয়। পরে সুকুর চাঁন বিবিকে চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান সুকুর চাঁন বিবির বাবার বাড়ীর আত্বীয় স্বজনদের কে খবর দেওয়া হয়। গত শনিবার তারাবীহ নামাজের পর চেয়ারম্যানের বাড়ীতে এক শালিশ বৈঠক অনুষ্টিত হয়। এতে উল্লেখিত জরিমানা ও ভাবীকে বিয়ের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
Leave a Reply