,

কিংবদন্তি কলমযোদ্ধা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজ হক আর নেই

নিজেস্ব প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ সাহিত্যাঙ্গনের কিংবদন্তি কলমযোদ্ধা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজ হক আর নেই (ইন্নালিল্লাহিা —— রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স ৮৩ বছর। হবিগঞ্জ শহরের ৩০/৮ ইনাতাবাদ আবাসিক এলাকার নিজ বাসায় বার্ধক্যজনিত কারনে গতকাল ২৯ জুন সোমবার সকাল ৬ টায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী রাবেয়া খাতুন খেলা, ২ ছেলে যথাক্রমে কবির কলেজ এর এও রেজাউল হক সাহের ও কানাডা প্রবাসী নিজামুল হক সিহাব, ভাই আলহাজ এম এ শহীদ ও মোঃ আব্দুল কবির সহ বহু গুনগ্রাহী ও আতœীয় স্বজন রেখে গেছেন। বাদ জোহর হবিগঞ্জ কোর্ট মসজিদ ও বাদ আছর শায়েস্থাগঞ্জের জহুর চান মহিলা কলেজ প্রাঙ্গনে জানাজা নামাজ শেষে সংলগ্ন পৈত্রিক বাড়ি সাবশপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ইতোপুর্বে সকালে তার মৃত্যুবর খবরে হবিগঞ্জের সাহিত্যাঙ্গনে ও জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শোকের ছায়া নেমে আসে। শহরের সর্বস্থরের মানুষের প্রিয়জনকে এক নজর শেষ বারের মতো দেখার জন্য বাসায় ভীড় জমান। হবিগঞ্জের সাহিত্যাঙ্গনের সফল কলমযোদ্ধা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজ হক এর মৃত্যুতে হবিগঞ্জ জেলা ইউ/পি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন ও হবিগঞ্জ নাগরিক কমিটির সম্পাদক আব্দুল আওয়াল তালুকদার গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। সংক্ষিপ্ত জীবনী : অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজ হক এর লেখালেখি ও সাহিত্যাঙ্গনে পয়ত্রিশ বছররাধিকাল কলম জীবন। সরকারী বেসরকারী চাকরিতে ৫০ বছরের কর্মদোড়। ম্যারাথন চাকরি জীবনের পাশাপাশী তার সাহিত্য ও লেখালেখীর দৈত্বসাধনা। শিক্ষা বিস্তার ও সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে সমাজ সেবা তার ধ্যান-জ্ঞান এবং একমাত্র জীবন-ব্রত। সরকারী চাকরীতে ডিপিও হিসাবে ‘৯৩ সালে ইতি টানার পর দীর্ঘ প্রায় পনের বছর যাবত ৩টি বেসরকারী কলেজ যথা-আজমিরীগঞ্জ কলেজ,নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ও আমৃত্যু বনিয়াচং সুফিয়া মতিন মহিলা কলেজ এর প্রতিষ্টাতা প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন এবং তৎসুবাদিই শিক্ষিত মহলে অধ্যক্ষ সিরাজ হক রুপে চিহ্নিত, পরিচিত। যথার্থ জীবনবোদ্ধা অধ্যক্ষ সিরাজ হক একজন সফল কলমযোদ্ধা। চিন্তাজ্ঞান ও বুদ্ধির ক্ষেত্রে সকল প্রকার বাধা বন্ধনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তিনি আজীবন মুক্তিযোদ্ধা। শিক্ষা-প্রবন্ধ-স্মৃতিকথা-শিল্পসংস্কৃতি প্রভৃতি বিষয়ে ১৬টি গ্রন্থের সার্থক জনক। এবং ছড়া-আতœকথা-প্রবন্ধ প্রভৃতি ৫টি পান্ডুলিপিরও। তন্মধ্যে আগ-পর প্রকাশিত ৪টি গল্পগ্রন্থ যথা‘গাধার প্রমোশন’ ‘গল্পবৃক্ষ’ ‘জীবন দর্পণ’ এবং হাতের মিশ্রগল্প, লেখকের কথা শিল্পী তথা কথাসাহিত্যিক অভিধার পক্ষে উজ্জল স্বাক্ষর রেখে গেছেন। কলমযোদ্ধা সিরাজ হক এর বাজারে প্রকাশিত বই এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলা পদ্ধতি ও রচনাবলী, মাতৃভাষা ও রচনাবলী, ইতিহাস শিক্ষাদান পদ্ধতি, চারু ও কারু শিল্প, স্বাস্থ্য শিক্ষা, অংক শিক্ষা পদ্ধতি, প্র্যাকটিস টিচিং গাইড, শিল্প-সাহিত্যের কথা, একান্ত ভাবনা, গাধার প্রমোশন, হবিগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা ও প্রবাদ-প্রবচন গবেষণা, গল্পতৃক্ষ, লেখকের কথা, জীবন দর্পণ।্যতম সহযোগী। তার দায়িত্ব হচ্ছে কড়মপুর মাজার এলাকায়। বাবুলের নির্দেশ মতে মাজারে আসা ভক্তদেরকে লিফলেট দিয়ে বাবুলের কাছে পাটাত। এতে সে ২৫% কমিশন পেত। কিন্তু বাবুল জেলে যাওয়ার পর তারা না খেয়ে থাকতে হয়। এ কারণে সে তাবিজ কবজ তন্ত্রমন্ত্র যাদু টুনা নিয়ে হবিগঞ্জে আসে। এবং কারাগারে তাদের উস্তাদ বাবুল চিশতীর সাথে দেখা করে । বাবুলে আধ্যাতিক শক্তির আদেশে হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে তাবিজ কবজ বিক্রী করে যে টাকা উপার্জন করবে তা দিয়ে তাদের উস্তাদ কে কারাগার থেকে বাহির করবে। এটাই তাদের মুল উদ্ধেশ্য। তার উস্তাদের টাকা বিভিন্ন দালালরা খেয়ে ফেলেছে। বাকী টাকা ব্যাংকে রয়েছে কিন্তু উস্তাদ নেই তাই তুলতে পারছি না। গতকাল সরজমিনে দেখা যায়, বাচ্ছা পাগল এক যুবক তন্ত্র মন্ত্র ও যাদু দেখিয়ে আদালতে আসা বিচার প্রার্থীদের কাছে তাবিজ কবজ বিক্রী করছে। বিভিন্ন ধরণের যাদুর সরমঞ্জাম সাজিয়ে বসেছে। সম্প্রতি রোগী গৃহবধূকে ধর্ষনের অভিযোগে বাবুল কারাগারে গেলে ইমামবাড়ীর মাসুক ও তার ছ্যালারা তার ব্যবসার হাল দরে এখন এদের পাশা পাশি বা”ছা পাগলও হাল ধরেছে। বাবুল শায়েস্তাগঞ্জের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত: নিজামউদ্দীনের পুত্র।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
×

Like us on Facebook

Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.