সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জের কুর্শি ইউনিয়নের হৈবতপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে এক গৃহবধু সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। জানা যায়, কুর্শি গ্রামের ক্বারী আব্দুল মোচ্ছাব্বিরের কন্যা মোছা শামছুন্নাহারের সাথে বিয়ে হয় হৈবতপুর গ্রামের মবস্বর মিয়ার। বিয়ের পর তাদের ৩ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন যৌতুকের জন্য গৃহবধু শামছুন্নাহারের উপর নানাভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে। গত প্রায় ৮ মাস আগে মবস্বর মিয়া জীবিকার তাগিতে বাহরাইন চলে যায়। শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে গত সোমবার বিকালে গৃহবধু শামছুন্নাহার পিত্রালয়ে চলে যেতে চাইলে শ্বশুর মঞ্জিল মিয়া (৭৫) এর নির্দেশে দেবর মতক্কির মিয়া (৩২), জামাল মিয়া (২৫), ননদ সোনারা বেগম (৩৫), মিনারা বেগম (৩০), শাহেনা বেগম (২৫) দা ও লাাটিসোটা নিয়ে শামছুন্নাহারের উপর অতর্কিতে হামলা চালিয় গুরুতর জখম করে। হামলাকারীদের দায়ের কোপ শামছুন্নাহার মাথায় লাগলে তিনি সঙ্গাহীন হয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে শামছুন্নাহারকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। শামছুন্নাহার বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারদের গভীর পর্যবেক্ষনে রয়েছেন।
Leave a Reply