মাহফুজ নয়ন ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ১ শিশু সন্তানের জননীর আত্মহত্যা। সে বড় সাকোয়া গ্রামের মামার বাড়িতে তার মায়ের সাথে ঈদ করার জন্য স্বামীকে নিয়ে ঢাকা থেকে এসে ছিল। নিহতের নাম শান্তি বেগম (২০)। গত রবিবার রাত ১২টার সময় এ ঘটনা ঘটে । সে ঢাকার এক গার্মেন্সকর্মী। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সে ঢাকার একটি গার্মেন্সকর্মী হিসাবে কাজ করছে। তার স্বামী নাজিম উদ্দিন ও ঢাকার গার্মেন্সকর্মী। তার স্বামীর বাড়ি ভৈরবে। তাদের প্রেম করে বিয়ে হয় প্রায় ১৬/১৭ মাস আগে। শাšি-র মামা জানান, তার বাবা বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামন গ্রামে শান্তি যখন ছোট ছিল তখন তার মা তার বাবার সাথে ঝগড়া করে তাকে নিয়ে আমার বাড়িতে চলে আসে এরপর থেকে সে এখানেই বড় হয়। গত কয়েক বছর যাবত সে ঢাকার একটি গার্মেন্সকর্মী হিসাবে কাজ করছে। ঈদ আমাদের সাথে করার জন্য সে তার স্বামী সন্তানকে নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিল। সারাদিন সে হাসিখুশী ছিল। পরে রাতে বাড়িতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি সবাই। রাতে তার র”ম থেকে তার স্বামীর চিৎকার শুনে গিয়ে দেখা যায় যে সে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়েছে। তাকে ঝুলন্ত দেখে আমি-তার মা হতবাক হয়ে যাই। পরে আমি স্থানীয় মেম্বারকে ডেকে এনে পুলিশকে খবর দেই। তবে কি কারণে শান্তি আত্মহত্যা করেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি। আশপাশের প্রতিবেশীরা বলাবলি করছে ঈদের রাতে তাদের মধ্যে নাকি ঝগড়া হয়েছিল। সে কারণে হয়ত শান্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে শান্তির মা-মামা এবং স্বামীর সাথে কথা কললে তারা বলেন এরকম কিছু হয়নি। তার স্বামী বারবার বলছিল এখন আমার শিশু বাচ্চাটার কি হবে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ইনচার্জ (ওসি) ছুটিতে থাকায়। নবীগঞ্জ থানার এস আই নুর মোহাম্মদ ব্রেকিং নিউজকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, আমরা শাšি-র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা করেছি বর্তমানে ময়না তদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে না পেলে কিছু বলতে পারছি না।
Leave a Reply