,

নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ৭৫ লাখ টাকার মূল হুতা শাহীন এখন পুলিশের খাচাঁয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর আলোচিত ৭৫ লাখ টাকা বহনকারী আত্মগোপনে থাকা কথিত শাহীন মিয়া (৩৫)কে গতকাল সোমবার সকালে শশুড়বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশের হাতে সোর্পদ করেছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে। আটককৃত শাহীন মিয়া বানিয়াচং উপজেলার রতনপুর গ্রামের উজির মিয়ার ছেলে। এছাড়া উক্ত টাকার ঘটনা নিয়ে বর্ণনা দিয়েছেন বলে গ্রামবাসী জানিয়েছেন। গ্রামবাসী ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায়, রবিবার গভীর রাতে গোপনে শাহীন মিয়া তার শশুড় আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি নবীগঞ্জে গহরপুর গ্রামে আসলে রাত ২ টার দিকে গ্রামবাসী তাকে আটক করে। পরদিন গতকাল সোমবার সকালে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার এস.আই শাহজান সিরাজের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থ গেলে গ্রামবাসী পুলিশের হাতে শাহীনকে সোর্পদ করে। আটককৃত শাহীন মিয়া গ্রামবাসীর জিজ্ঞাসাবাদকালে জানায়, লাখাই এলাকার বুল্লা বাজারে চা-ষ্টল থেকে একটি ব্রিফকেস পেয়ে তার বোনের বাসায় হবিগঞ্জ শহরে নিয়ে আসে। সেখানে চাবি দিয়ে উক্ত ব্রিফকেস খুললে ৭৫ লাখ টাকা পায়। এ সময় তার ঋন বাবদ জনৈক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা প্রদান করেন। ১৭ দিন যাবৎ ওই টাকার ব্রিফকেস নিয়ে বোনের বাসায় থাকার পর শশুড় বাড়ি নবীগঞ্জ এলাকার সিএনজি চালক বদর মিয়ার সিএনজি যোগে সম্প্রতি শশুড়বাড়ি নিয়ে আসে। প্রথম দিন ব্রিফকেসটি ঘরে বাশের ছাদের উপর থাকে। পরদিন তার স্ত্রী ও শাশুড়ী ঘরের খাটের নীচে মাটিতে গর্ত করে রাখে। ওই দিনই একদল লোক তার শশুড়বাড়িতে হানা দিয়ে মাটি খুড়ে ব্রিফকেসটি নিয়ে উধাও হয়। শাহীন গ্রামবাসীকে জানায়, পরে তার শশুড় আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে শুনেছে ওই টাকাভর্তি ব্রিফকেসটি তিমিরপুরের মালিক, গহরপুর গ্রামের আলাল ও সিএনজি চালক বদর মিয়াসহ কয়েকজন নিয়ে গেছে। তবে তার প্রবাসী সমন্ধিক বিয়ে করার জন্য দেশে আসলেও বিয়ে না করে ছুটির মেয়াদ থাকার পরও হঠাৎ করে প্রবাসে চলে যাওয়ায় রহস্য ঘনিভুত হচ্ছে। এ ছাড়া শাহীন নিশ্চিত ওই ব্রিফকেসে ৭৪ লাখ টাকা ছিল যা তার শশুড় বাড়ির লোকজন জানতেন। গ্রামবাসী বলেন, শাহীন মিয়ার দেয়া বক্তব্য শুনে রূপ কথার গল্প মনে হচ্ছে। ব্রিফকেস যদি কুড়িয়ে পেয়ে থাকেন তাহলে চাবি ফেলেন কোথায়? এ প্রশ্নও দেখা দিয়েছে অনেকের মাঝে। কিন্তু শাহীনের শশুড় আব্দুর রাজ্জাকের দাবী শাহীনের মুখে টাকার কথা শুনলেও তারা ব্রিফকেস খোলে দেখেন নি। এ ব্যাপারে এস.আই শাহজান সিরাজের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নবীগঞ্জে আলোচিত ৭৫ লাখ টাকার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের স্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপর একটি সুত্রে জানাগেছে, পুলিশ এ ব্যাপারে শাহীনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ব্যপারে আমাদের বার্তাকক্ষ থেকে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ লিয়াকত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ রহস্য উদঘাটনে ব্যাপক তৎপরতা রয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.