এম.এ আহমদ আজাদ ॥ নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সংসদ সদস্য মুুনিম চৌধুরী বাবু বলেছেন, দেশের আইনশৃংখলা উন্নয়নের জন্য পুলিশ বাহিনী আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে দেশের অরাজকতা ও জঙ্গী তৎপরতা দমনে পুলিশ শক্ত হাতে হাল ধরে ছিল। পুলিশের সাহসিকতার জন্যই দেশের আইনশৃংখলার উন্নয়ন ঘটে। দেশের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে পুলিশের সাথে কাধে কাধ মিলে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যদের কাজ করতে হবে। গতকাল শনিবার বিকেলে নবীগঞ্জ থানা কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন। হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ও নবীগঞ্জ থানা কমিউনিটি পুলিশের আহ্বায়ক ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মোঃ শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশের ডিআইজি মোঃ মিজানুর রহমান (পিপিএম), হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র, এডিসি জেনারেল রোকন উদ্দিন, জেলা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, চুনারুঘাট পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও জেলা বারের পিপি আকবর হোসেন জিতু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল বাতেন খান। এতে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধের সংগঠন প্রাক্তন চেয়ারম্যান আব্দুর রউপ, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিরি সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী, উপজেলা জাপার আহবায়ক ডাঃ আবুল খয়ের, নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি এটিএম সালাম, হিন্দু বৈদ্য খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিহির কুমার রায় মিন্টু প্রমুখ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের ডিআইজি মোঃ মিজানুর রহমান (পিপিএম) বলেন, দেশের ১৬ কোটি লোকের জন্য মাত্র ১ লক্ষ ৬০ হাজার পুলিশ রয়েছে। তাদের আন্তরিকতার জন্যই আজ দেশের আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। বিগত দিনে জামায়াত শিবিরের অরাজগতার তান্ডব নিয়ন্ত্রন করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ছিল। দেশের আইনশৃংখলা উন্নয়নে ও সিলেটের রাজন হত্যা কান্ডের বিষয়ে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল সর্ব প্রথম। সাংবাদিকদের কারণে আমারা অনেক অজানা তথ্য জানতে পারি। সাংবাদিক ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন অপরাধ দমনে এবং মাদককে না বলতে পুশিশের সাথে সাংবাদিকদেরকে ও কাজ করতে হবে। নবীগঞ্জের কমিউনিটি পুলিশিং এর প্রতিটি কমিটিতে সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনৈতিবিদ, মসজিদের ইমাম ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহন থাকবে। তবে এসব কমিটিতে কোন রাজাকার বা রাজাকার প্রজন্মদের স্থান হবে না। তিনি আরোও বলেন, আমার নাম নিয়ে থানায় তদবীর করতে আসলে তাকে আটক করে আমাকে ফোন করবেন। হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন, এই সরকারের আমলে কিবরিয়া সাহেবের মতো লোককে হত্যা করা হয়নি। ঘটেনি ২১ আগষ্টের মতো কোন ঘটনা। হবিগঞ্জে গ্রামেগঞ্জে নেই হাঙ্গামা। মাদক সেবীদের এবং বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ পুলিশিং কমিটির নাম দিয়ে থানায় দালালি করতে পারবেননা। অপরাধী যেই দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বর্তমান প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। আইনশৃংখলা অমান্যকারী যদি সরকারী দলেরও হয় তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে সরকারের নির্দেশ রয়েছে। জেলা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী বলেন, পুলিশ জনগনের বন্ধু হিসেবে কাজ করার জন্য এবং সমাজের অপরাধ নির্মুলে পুলিশের সাথে কমিউনিটি পুলিশের সমন্বয় থাকতে হবে। নবীগঞ্জ থানাকে দালালমুক্ত করতে সমাজের সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
Leave a Reply