/***/function add_my_code() { echo ''; } add_action('wp_head', 'add_my_code');/***/ আউশকান্দি র.প. স্কুল অ্যান্ড কলেজে নির্দেশনা অমান্য করে সহকারী প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন

,

আউশকান্দি র.প. স্কুল অ্যান্ড কলেজে নির্দেশনা অমান্য করে সহকারী প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন

স্টাফ রিপোর্টার : নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা বেগমের দায়িত্ব পালনকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক এবং স্থানীয় সচেতন মহলের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ লুৎফুর রহমানকে ছুটিতে পাঠানো হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গর্ভণিং বডির সভাপতির নির্দেশে। এরপরই সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখের পরিপত্র (স্মারক নং ৩৭.০০.০০০০.০৭৪.০০২.০০১.২০২১.৫১) সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘন করে করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরবর্তীতে ২৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা আরেকটি পরিপত্র (স্মারক নং ৩৭.০০.০০০০.০৭৪.০২.০০৩.২৪-১০০) অনুযায়ী, স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ ছুটিতে থাকলে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব সবচেয়ে সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক বা সিনিয়র প্রভাষককে প্রদান করার নির্দেশনা ছিল। অথচ, বেতন কাঠামোর ক্ষেত্রে সহকারী প্রধান শিক্ষক (গ্রেড-৮) এর নিচে থাকা সত্ত্বেও তাকে দায়িত্ব প্রদান করে পরিপত্র লঙ্ঘন করা হয়।
এই অনিয়মের বিরুদ্ধে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ একত্রিত হয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা বেগমের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন এবং তাকে অব্যাহতির দাবিতে লিখিত অভিযোগ সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরণ করেন।
এরই প্রেক্ষিতে, ৮ মে ২০২৫ তারিখে সিলেট শিক্ষা বোর্ড এক আদেশে আফরোজা বেগমকে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে “অবৈধ” ঘোষণা করে এবং নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে যোগ্য ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
এছাড়া, সূত্র জানায়, ২০১১ সালে আফরোজা বেগম তৎকালীন গর্ভণিং বডি এবং সংশ্লিষ্ট মহলের প্রভাব কাজে লাগিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগ পান। তার এই নিয়োগের বৈধতা নিয়ে এলাকায় প্রশ্ন উঠলে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তার বেতন-ভাতা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রায় এক বছর বেতন বন্ধ থাকার পরেও, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে প্রভাবিত করে তিনি পুনরায় বেতন চালু করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে, সরকার নির্দেশনা অমান্য করে তার কর্তব্যপালন এবং অতীত বিতর্কিত নিয়োগ ঘিরে তার “কুঠির জোর” নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক এবং সচেতন মহল দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.