,

শুধু ৩ এমপিই নয় ভবিষ্যতে লেবার পার্টি থেকে আরো বহু ব্রিটিশ বাংলাদেশী এমপি আসবে

লন্ডন প্রতিনিধি ॥ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একসাথে তিন তিন জন ব্রিটিশ বাংলাদেশীর এমপি হিসেবে প্রবেশকে একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখে ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে লেবার ফেন্ড্রন্স অফ বাংলাদেশের বার্ষিক কনফারেন্স র‌্যালিতে। ব্রিটেনের সমুদ্র শহর ব্রাইটনে অনুষ্ঠিত এই র‌্যালিতে ব্রিটিশ লেবার পার্টির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে তিন জন ব্রিটিশ বাংলাদেশী নারীর এমপি নির্বাচিত হওয়াকে উদযাপিত করেন। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রুশনারা আলী এমপি, রুপা হক এমপি, শ্যাডো চীফ সেক্রেটারী টু ট্রেজারী সীমা মালহোত্রা এমপি, এমপি, মেরী ক্রেগ এমপি, ষ্ঠিফেণ টিমস এমপি, কেয়ার ষ্টিমার এমপি, শাবানা মাহমুদ এমপি, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম এ হান্নান, লেবার ফ্রেন্ডন্স অফ বাংলাদেশের চেয়ার হাওর্য়াড ডোভারম অর্গানাইজিং সেক্রেটারী সৈয়দ আবুল বাশার, কমিউনিকেশন ওর্য়াকার ইউনিয়নের রিজিওনাল পলিটিকেল সেক্রেটারী অ্যালেন টেইট সহ আরো অনেকে। সম্মেলনে লেবার ফ্রেন্ডন্স অফ বাংলাদেশের চেয়ার হাওয়ার্ড ডোভার তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, লেবার পার্টিই একমাত্র পার্টি যারা ব্রিটিশ বাংলাদেশী প্রার্থীকে লেবারের নিরাপদ সিটে নমিনেশন দেয়। তিনি ভবিষ্যতে আরো বেশী সংখ্যক ব্রিটিশ বাংলাদেশী লেবার এমপি পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ব্যাক্তিগত কারনে র‌্যালিতে উপস্থিত না থাকলেও টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে কনফারেন্সে আলোচনার শেষ ছিলো না। বিশেষ করে লেবার পার্টি নতুন শ্যাডো ক্যাবিনেটে তার পদ প্রাপ্তিকে একটি বড় অর্জণ হিসেবে দেখছেন সবাই। লেবার ফ্রেন্ডন্স অফ বাংলাদেশের অর্গানাইজিং সেক্রেটারী ও কমিউনিকেশন ওর্য়াকার ইউনিয়নের পলিটিকেল সেক্রেটারী সৈয়দ আবুল বাশার সম্মেলনের মাধ্যমে লেবার পার্টি শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের সখ্যতা আরো শক্তিশালী হয় বলে উল্ল্যেখ করেন। তিনি বলেন, এর পাশাপাশি লেবার পার্টির শীর্ষস্থানীয় পদে যেন যোগ্য ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা ¯’ান পায় তার জণ্য তার সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। শ্যাডো কেবিনেটে টিউলিপ সিদ্দিকের স্থান পাওয়াকে তিনি একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখে বলে ভবিষ্যতে লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসলে টিউলিপ সিদ্দিক পুরো সেক্রেটারী পদে স্থান পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। শ্যাডো চীফ সেক্রেটারী টু ট্রেজারী সীমা মালহোত্রা এমপি লেবার পার্টি সকলে সাফল্যে ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের একটি বড় অবদান রয়েছে বলে স্বীকার করেন বলেন, ভবিষ্যতেও পার্টি ও ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা সবসময়ই একসাথে থাকবে। তিনি লেবার পার্টি নতুন নেতৃত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, নতুন করে সাধারন জনগনের বিশ্বাস ফিরে পেতে এটি অনন্ত সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। প্রভাবশালী এমপি চুকা উমানা বলেন, শুধু এমপি পদে নয়, স্থানীয় সরকার সহ লেবার পার্টি সকল স্তরে তিনি আরো বেশী সংখ্যক ব্রিটিশ বাংলাদেশী প্রতিনিধি দেখতে চান। তিনি আরো বলেন বর্তমান টোরি সরকারের অ্যান্টি এথনিক মাইনোরিটি কমিউনিটি ধরনের কর্মকান্ড এখন সকলের সম্মুখে উঠে আসছে এবং এটি প্রতিরোধে সকলের একযোগে কাজ করা উচিত। প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ এমপি হিসেবে নির্বাচিত রুপা হক এমপি নিজেকে প্রথমেই একজন গর্বিত ব্রিটিশ বাংলাদেশী দ্বিতীয় প্রজন্ম বলে উল্ল্যেখ করেন। তিনি এই সময় লেবার পার্টিকে আরো শক্তিশালী করার জন্য এথনিক মাইনোরিটি ভোটগুলো আরো সুরক্ষিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, একই সাথে তিন তিন জন্য ব্রিটিশ বাংলাদেশী নারী এমপি পদে নির্বাচিত হওয়ায় ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা এখন বিএমই কমিউনিটির মধ্যে অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় কমিউনিটি। রুশনারা আলী এমপি তার বক্তব্যে সর্বপ্রথমেই ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটিকে ধণ্যবাদ জানিয়ে বলেন, কমিউনিটির সাহায্য ও সহযোগীতা না পেলে তিনি কখনোই ২০১০ এর সর্বপ্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশী এমপি হতে পারতেন না। এর জন্য তিনি লেবার পার্টিকেও ধণ্যবাদ দিয়ে বলেন ইকুয়েলিটিও ডাইর্ভারসিটিতে লেবার পার্টি সবসময় সবার চেয়ে এগিয়ে থাকে সম্মেলনে ডন বাটলার এমপি বলেন, পার্লামেন্টে সবসময় সকল সমাজের প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত। তবে তিনি ভবিষ্যতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভবিষ্যতে নারী ও পুরুষ এমপি এর সংখ্যার ভারসাম্য আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.