,

আজমিরীগঞ্জ নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত শতাধিক পরিবার

হাবিবুর রহমান রিয়াদ/জাবেদ তালুকদার

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চৌলরী, বদলপুর ও মনিপুর গ্রামে বসবাসের শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার। ভাঙ্গনে বাদ যায়নি মসজিদও। ভাঙ্গন কবলিত অসহায় মানুষ বসত-বিটা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। অনেকেই আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অসহায় মানুষের ঘর ভেঙ্গে বিলীন হচ্ছে নদীতে। আর সে দৃশ্য দেখে বাসিন্দাদের চোখে মুখে চিন্তার ছাপ। স্থানীয়দের অভিযোগ, যত্রতত্র ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলনের কারণে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী মুক্তার মিয়া (৪০) বলেন, আমাদের যতটুকু জায়গা ছিল সব নদীতে চলেগেছে ঘর টাও যেকোন সময় নদীতে পড়ে যাবে। সরকারের কাছে দাবি জানাই ব্লক পেলে যেন আমাদের গ্রামটাকে রক্ষা করে দেয়। ভূষণ চন্দ্র সূত্রধর (৭০) বলেন, আমার জীবনে ভাঙ্গা গড়ার খেলা খেলতে খেলতে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। এখন আতঙ্কের মধ্যে আছি কখন যেন আমার ছোট্ট ঘরটিও নিয়ে যায়। সুজন মিয়া বলেন, প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনের ফলে আজমিরীগঞ্জ-কাকাইলছেও রাস্তা স্কুল মাদ্রাসা চৌলরী বাজারও ফসলি জমি নদী ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়বে বলে আশংকা করেছেন।
ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, আমাদের গ্রামগুলির অবস্থা খুবই খারাপ প্রতিনিয়ত ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীতে আমি চেয়ারম্যান সাহেব কে নিয়ে এমপি সাহেবের সঙ্গে আলাপ করেছি গ্রামগুলা রক্ষা করার ব্যবস্থা করা জন্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জুয়েল ভৌমিক বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান ও পিআইওদেরকে নিয়ে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি। লিখিতভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি। তারা কাজ করার প্রস্ততি নিচ্ছেন।
হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, ভাঙ্গনের বিষয়ে অবগত আছি। গ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর