,

বাহাসে আসেননি কওমির ৪ আলেম কওমি-সুন্নি দুটি পক্ষ এখন মুখামুখি

এম.এ আহমদ আজাদ : টাঙ্গাইল মধুপুরের মহিষমারার বাহাস সারা দেশে তোলপাড় হচ্ছে। কওমি ও সুন্নি দুটি পক্ষ এখন মুখামুখি অবস্থান করছে। কি হয়েছিল সেই দিন এনিয়ে আলোচনার অন্তনেই। এক পক্ষ আরেক পক্ষ কে দোষারোপ করছে। ভিডিও পাল্টা ভিডিও বার্তা প্রদান করা হচ্ছে। কওমিরা বলছে তারা বাহাসস্থলে ছিলো। আর সুন্নি আলেমদের দাবি তারা বাহাস স্থলে যায়নি। এনিয়ে সরজমিন খোঁজ নিয়ে জানাযায় মুল বিষয় হলো “মিলাদ কেয়াম পড়া” নিয়ে মুলত দুটি পক্ষ এর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। কওমিরা বলছে মিলাদ কেয়াম পড়া জায়েজ নয় এটা বেদাতি কাজ। আর সুন্নিরা বলে মিলাদ কেয়াম জায়েজ এটা মুস্তাহাব নেকির কাজ। এনিয়ে দুটি পক্ষ বাহাসের জন্য দুটি পক্ষ মুখামুখি হয়। গত ২ জুন বাহাসের জন্য দুটি প্যানেল করা হয়। প্রথম পক্ষ হচ্ছে উলামা পরিষদ মধুপুর টাঙ্গাইল তারা চ্যালেঞ্জ করে মিলাদ কেয়াম না জায়েজ বেদাত গুনাহের কাজ। আহলে সুন্নাতুল ওয়াল জামাতের পক্ষে এই বিষয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেন মাওঃ রুহুল আমিন মির্জাপুর টাঙ্গাইল। কওমি পক্ষের প্যানেলে ছিলেন মাওঃ লুৎফর রহমান ফরায়েজী, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মাওঃ সাদ্দাম হোসেন সালমান, মাওঃ আনোয়ার হোসেন, মাওঃ শফি কাসেমী মাওঃ আব্দুল হালিম কাসেমী প্রমূখ। সুন্নিদের পক্ষে প্যানেলে ছিলেন মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদী, আল্লামা হাসনাইন আহমদ আল-কাদেরী, মুফতি মোতালেব হোসেন সালেহী, মাওঃ হাসানুর রহমান হোসাইন নকসেবন্ধী, মুফতি নাসির বিল্লাহ রব্বানী, মাওঃ শহিদুল্লাহ পাঠান প্রমুখ। ২ জুন বিকাল ৩টায় মধুপুর থানার মহিষমারা পশ্চিম পাড়া সরকারী প্রাথমিক স্কুল মাঠে বাহাস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। সকাল বেলা সুন্নি আলেমদের প্যানেল ঐ গ্রামে উপস্থিত হন। তারা যথাযত ভাবে প্রস্তুতিনেন বাহাসের জন্য। তারা ঐ গ্রামের মাওঃ আব্দুল আজিজের বাড়িতে উপস্থিত হন। খবর পেয়ে মধুপুর পুলিশ প্রশাসন মহিষমারা পশ্চিম পাড়া সরকারী প্রাথমিক স্কুল মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করেন। তবুও প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে সুন্নিরা মাঠের পাশে অবস্থান নেন। কিন্তু প্রশাসন তাদেরকে বাঁধা দিলে তারা সেখান থেকে ফিরে আসেন। কিন্তু অপর পক্ষের কওমি প্যানেলের শুধু মাওঃ লুৎফর রহমান ফরায়েজী, ছাড়া আর কেউ মধুপুরে যাননি। তিনি মহিষমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি। আর বাহাসে অনুপস্থিত ছিলেন কওমি প্যানেলের মুফতি রেজাউল করিম আবরার, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মাওঃ সাদ্দাম হোসেন সালমান, মাওঃ আনোয়ার হোসেন, মাওঃ শফি কাসেমী মাওঃ আব্দুল হালিম কাসেমী প্রমূখ। ফলে বহুকাংখিত বাহাস অনুষ্ঠিত হয়নি। এবিষয়ে মহিষমারা গ্রামের মুরব্বি আব্দুল আজিজ বলেন, কওমিরা মহিষমারা গ্রামে ঐদিন অনুপস্থিত ছিলেন তার জন্য বাহাস হয়নি। এ বিষয়ে মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদী বলেন, আমরা মিলাদ কেয়ামের পক্ষে বাহাস করার জন্য ঐদিন মহিষমারা গ্রামে উপস্থিত ছিলাম, প্রশাসনের অনুমতি থাকলে বাহাস হতো। কিন্তু কওমি প্যানেলের মাওঃ লুৎফর রহমান ফরায়েজী, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মাওঃ শফি কাসেমী এদের মধ্যে শুধু মাওঃ লুৎফর রহমান ফরায়েজী, সাহেব মধুপুর সদরে একটি মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়েছিলেন, তিনি ছাড়া তার প্যানেলের সেখানে আর কোন আলেম আসেননি ভয়ে পালিয়ে গেছেন। কওমি প্যানেলের প্রধান মাওঃ লুৎফর রহমান ফরায়েজী বলেন তিনি ঐদিন একাই মধুপুরে উপস্থিত হয়েছিলেন। অন্যরা কেন উপস্থিত হননি তিনি এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।


     এই বিভাগের আরো খবর