সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের হুসেনপুর গ্রামের মরহুম আরাফাত উল্লাহর ছেলে সুহেল মিয়ার সম্পত্তি আত্নসাৎ করায় তার চাচা মরহুম আমান উল্লাহর ছেলে মোঃ আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে সুহেল মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ০৫ (নবীগঞ্জ) হবিগঞ্জ এ ৩টি গ্রামের পাঞ্চায়েত ব্যক্তিবর্গকে সাক্ষী রেখে দায়ের করা (সি-আর ১৫২/২০১৯) এর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গত ২৮ জানুয়ারী ২০২১ইং তারিখে দাখিল করেছেন সিআইডি জোন হবিগঞ্জ এর তদন্তকারী
কর্মকর্তা তদন্তে মোঃ মুরাদ হোসেন। ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন মর্মে তিনি উল্লেখ করেন। প্রতিবেদন সূত্রে প্রকাশ, সুহেল মিয়ার বাবা ও চাচা মোট ৩ ভাইয়ের যৌথ সম্পত্তি থেকে আব্দুর রউফের স্ত্রী আছমা বেগমের নামে ২ ভাই মিলে সম্পূর্ণ সম্পত্তি আছমা বেগমকে দিয়ে দেন। গত আর এস জরিপে আছমা বেগমের নামে উক্ত সম্পত্তি রেকর্ডভূক্ত হয়। এতে মরহুম আরাফাত উল্লাহর অংশ থেকে যায়। বাদীর পিতার অবর্তমানে বাদীর হিস্যায় প্রাপ্য হওয়ায় মামলার ১নং আসামী আব্দুর রউফকে কখনো তার স্ত্রীকে রেকর্ডকৃত ভূমি দলীলমূলে ফেরত দেই দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করেন। ৩০ শতক ভূমি বিক্রির মূল্য বাবত ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা ও আত্নসাৎকৃত ভূমি ও অবৈধ রেকর্ডকৃত ভূমি দলিলমূলে ফেরত দওয়ার কথা বলে রেজিস্ট্রারির খরচ বাবদ ১ লক্ষ টাকা সহ মোট ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা সুহেল মিয়া পাঞ্চায়েতে জমা দিলে পাঞ্চায়েতের মাধ্যমে আব্দুর রউফ গংকে উক্ত টাকা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আব্দুর রউফ গংরা টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে সুহেল মিয়াকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকী প্রদান সহ সুহেল মিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রদান করে। এ প্রতিনিধিকে সুহেল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আসামী আব্দুর রউফ বাদীকে মোবাইল ফোনে ও বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দামকী প্রদান করে আসছে। তিনি আরও বলেন তাদের এহেন কর্মকান্ডে সে ভীত অবস্থায় আছি। তিনি আরও জানান পাঞ্চায়েত ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি অবগত করেছি। আগামী তারিখে পাঞ্চায়েত ব্যক্তিবর্গ ও মামলার স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর সহ আদালতে উপস্থিত হয়ে সুবিচার প্রার্থনা করর এবং আসামীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।