,

শায়েস্তাগঞ্জে চোরাই কাঠের রমরমা ব্যবসা ॥ প্রশাসনের নিরব ভূমিকা

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ সদর উপজেলা শায়েস্তাগঞ্জে চলছে বিভিন্ন জাতের চোলাই কাঠের রমরমা ব্যবসা। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব বনজ কাঠ ক্রয় বিক্রয় হলে ও রহস্যজনক কারনে তারা নিরব। অবৈধ চোরাই কাঠ ব্যবসায়ীদের দাপটে সাধারণ বৈধ ব্যবসায়ীরা পথে বসেছেন। সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গোটা এলাকা জুড়ে বেড়াচ্ছে একটি  শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের সদ্যরা চোরাই পথে দিনে রাতে কাঠ পাচার করে মোটা অংকের টাকা কামাই করছে। সরজমিনে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জে দেউন্দি সড়ক চৌমুহনীস্থ, পুরান বাজার, লস্করপুর, কলিমনগর, সুতাং (আলীগঞ্জ বাজার) চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা বাজারে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠেছে ১৫টি ‘স’ মিল। আর ‘স’ মিল গুলোকে ঘিরে ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে চোরাই কাঠের রমরমা ব্যবসা করছেন সাতছড়ি, রঘুনন্দন, হবিগঞ্জ রেঞ্জ-১ সরকারী বন উজার করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কাঠ পাচার করে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। তারা বাহুবল, চুনারুঘাট, মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন বন থেকে বন বিভাগের কিছু অসৎ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এবং বন বিভাগের আওতাধীন লস্করপুর রেল গেইটস্থ ও সাতছড়ি চেক পোষ্টে অসাধু ফরেষ্ট এবং ফরেষ্ট গার্ডকে ম্যানেজ করে চোরাই কাঠ শায়েস্তাগঞ্জ সহ হবিগঞ্জ শহরে নিয়ে আসেন। ওই কাঠ গুলোতে হেমার নেই, নেই কোন নাম্বার। ব্যবসায়ীদের নেই অনেকের কোনো বৈধ কাগজ পত্র। টাকা পেলেই ছারপত্র দেন ফরেষ্ট চেক পোষ্টের লোক জন। চোরাই কাঠ ব্যবসায়ীদের সঙ্গেঁ পাল্লা দিয়ে কোন ভাবেই পুষিয়ে উঠতে পারছে না বৈধ কাঠ ব্যবসায়ীরা। এক কাঠ ব্যবসায়ী এ প্রতিনিধিকে জানান, চোরাই কাঠ ব্যবসায়ীর দাপটে সাধারণ বৈধ ব্যবসায়ীদের এখন রাস্তায় বসতে হচ্ছে। এ পযর্ন্ত অবৈধ চোরাই কাঠ ব্যবসায়ীদের কারনে বর্তমান সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর