স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের খাগাউড়া গ্রামে গৃহবধূ রেফা বেগমকে হত্যার পর আগুনে পুড়ানোর ঘটনাটি ভুলতে পারছেনা এলাকাবাসী। তার মৃত্যুর জন্য সৎ শ্বাশুড়ি আছিয়াকেই দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে এ হত্যাান্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। আছিয়া শুধু রেফা বেগমের উপরই নির্যাতন করেনি, তার নির্যাতনের শিকার হয়েছে স্বামী লোকমান মিয়া এবং রায়হান মিয়াও। গ্রামবাসীর সাথে আলাপ করে জানা গেছে, লোকমান মিয়ার ১ম স্ত্রী রুবি আক্তার প্রায় ২০ বছর আগে ২ ছেলে সন্তানকে রেখে মারা যান। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তখন রায়হানের (নিহত রেফার স্বামী) বয়স ছিল প্রায় ৭ বছর এবং ছোট ছেলে আল আমিনের বয়স ছিল প্রায় দেড় বছর। রুবি আক্তার মারা যাওয়ার প্রায় দেড় বছর পর আছিয়াকে বিয়ে করেন লোকমান মিয়া। তখন আছিয়ার আগের স্বামীর ঔরসের ২ মেয়ে সেলিনা, হেলেনা ও ১ ছেলে আসাদকে লোকমান মিয়াই নিজে ভরণ পোষণ করেন। আছিয়া বেগম বিয়ের পর থেকেই দুই সৎ ছেলে রায়হান ও আল আমিনের উপর নির্যাতন করত। সাড়ে ৩ বছর বয়সে আল আমিন মারা যায়। রেফা বেগমকে হত্যার পেছনে আছিয়ার সম্পত্তি আত্মসাতের ফন্দিও ছিল বলে গুঞ্জন রয়েছে। এলাকায় লোকমুখে বলাবলি আছে, যে রাতে রেফাকে হত্যা করা হয় এর আগে রেফার স্বামী রায়হান মিয়া ফোন করে তাদের ভাড়াটিয়া সিএনজি চালক জলিলের মাধ্যমে ঘুমের ঔষুধ ও এক বোতল কেরোসিন আনতে বলে। তবে একথা অস্বীকার করেছেন জলিল মিয়া। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক মহিলা জানান, ওই রাতে জলিল মিয়ার স্ত্রী নাসিমা আক্তার রাত ১১ টা পর্যন্ত রেফার রুমে ছিলেন। নাসিমা এবং আছিয়ার মধ্যে খুবই সখ্যতা ছিল। রেফার স্বামী রায়হানের সাথেও নাসিমার খুবই ভাল সম্পর্ক ছিল। রেফা হত্যা সম্পর্কে নাসিমার সাথে আলাপ হলে তিনি জানান- রাত ২টার দিকে রায়হানই চিৎকার করে তাদেরকে রেফার মৃত্যুর ঘটনাটি জানায়।
Leave a Reply