বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পাঠানটুলা (মীরবাড়ি) প্রবাসীর বাড়িতে এক দল দুর্বৃত্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফিল্মি ষ্টাইলে হামলা চালিয়ে ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার রাত ৯টায়। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পাঠানটুলা (মিরবাড়ী) গ্রামের সৌদি প্রবাসী মনু মিয়ার বাড়িতে পার্শ্ববর্তী মির্জাটুলা গ্রামের কদর আলী ও স্বাস্থ্য সহকারী মো: ফারুক মিয়ার নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের এক দল দুর্বৃত্ত বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ইট-পাটকেল ছুড়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে ফারুক ও কদর ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবাসীর ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে নারী-শিশু সহ সবাইকে জিম্মি করে ঘরে থাকা আলমারী সুকেস সহ বিভিন্ন শোভা বর্ধনকারী দামী দামী জিনিসপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার সহ ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের মারমুখী অবস্থায় ঐ বাড়ির লোকজন বাধা দিতে গেলে মীর আহম্মদ আলী কাপ্তান (৩০), মীর লিটন (২৫), মুন্না (২৭), রেজবি (২৩), মীর লিয়াকত আলী কাওসার (৩৫), মীর শওকিল মিয়া চৌধুরী (৩৫) আহত হয়েছে। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক মিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল, মেম্বার মাসুদুর রহমান, করাঙ্গী নিউজ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হুমায়ূন কবীর, বিশিষ্ট মুরুব্বী দরবেশ আলী, নুরুল ইসলাম, জিতু মিয়া, আব্দুল খালিক, হারুন মিয়া, আব্দুল্লা, মোস্তফা আলীসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ডাকাত কদর আলী ও ফারুকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এদিকে সাংবাদিক সহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা বাহুবল থানায় বার বার ফোন করেও পুলিশের কোন সহযোগিতা পাননি। বাহুবল মডেল থানার ওসি আলী ফরিদ জানান, হবিগঞ্জে প্রাইমিনিষ্টারের ডিউটিতে আছি, থানায় পুলিশ নেই। উপস্থিত লোকজন জানান, হামলা কারী কদর আলী ঐ বাড়ির পার্শ্বে পল্লী বিদ্যুৎ এর তার চুরি করে এনে তাদের কাছেই ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তারা চাঁদা দিতে অস্বীকার করে জনসম্মুখে প্রকাশ করলে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হতে থাকে কদর আলী। এর জের ধরেই হামলা, ভাংচুর, লুটপাঠ করেছে বলেও জানান তারা।
Leave a Reply