,

আজমিরীগঞ্জে ফের সক্রিয় হয়েছে বালুখেকো চক্র

হাবিবুর রহমান রিয়াদ, আজমিরীগঞ্জ : আজমিরীগঞ্জে ফের শুরু হয়েছে বালুখেকো চক্রের তান্ডব। কোন ব্যাক্তি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয় এবার সরকারি প্রতিষ্টানের কাজের দোহাই দিয়ে চলছে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন। গত ৫ এপ্রিল স্থানীয়দের বাঁধার মুখে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও বিগত দুইদিন যাবত পুনরায় শুরু হয়েছে বালু উত্তোলনের কাজ।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের অংশের কুশিয়ারা নদী থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদী পর্যন্ত নৌপথে কোন সরকারি ইজারাকৃত বালু মহাল না থাকলেও হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের মধ্যাঞ্চলে নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে এই বালু। এতে করে পুনরায় কাকাইলছেও এর বদলপুর, বদলপুরের পিরোজপুর গ্রামসহ সরকারি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত কৃষকের ফসল রক্ষা বাঁধ নদী ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়বে বলে আশংকা করেছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা দাবী করেন, বালু আজমিরীগঞ্জ উপজেলা থেকে তোলা হচ্ছেনা। আর সরকারি কাজের জন্য কোন অনুমোদন নিতে হয়না।
জানাগেছে, কিছুদিন পুর্বে পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনের ভবন ও ভবনে যাবার রাস্তা নির্মাণের কাজ দরপত্র আহবানের মাধ্যমে শুরু করা হয়। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পায় এবিএম নামের ঢাকার একটি প্রতিষ্টান যার তত্বাবধানে রয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এবিএম প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের এক ব্যাক্তি বালু সরবরাহ ও ভরাটের দায়িত্ব নেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে নদীতে আনলোড মেশিন বসিয়ে বালু ভরাটের কাজ শুরু করে ঐ চক্রটি। স্থানীয়দের বাঁধার মুখে বালু ভরাটের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় বালু ভরাটের সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে পুনরায় বালু ভরাটের কাজ শুরু করেন তারা।
সরেজমিনে পৌরসদরের ভাঠি সমীপুর এলাকা সংলগ্ন কাকাইলছেও সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, নদীর পাড় থেকে কৃষি জমি ও সড়কের উপর দিয়ে প্রায় হাজার মিটারের বেশী মোটা পাইপ বসিয়ে ড্যাম্পিং ষ্টেশনে পুনরায় শুরু হয়েছে বালু ভরাটের কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দা আক্তার মিয়া, আকবর মিয়া সহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, নদী ভাঙ্গনে এমনিতেই বসতবাড়ি সহ ফসলি জমি হুমকির মুখে। এখন যদি বালু খেকোদের দৌরাত্ম্য পুনরায় শুরু হয় তবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নদী পাড়ের কৃষকসহ সাধারণ মানুষ। এসময় অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক জুয়েল ভৌমিক বলেন, পৌরসভার ড্যাম্পিং স্টেশনের রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তারা আমাদের উপজেলার সীমানা থেকে বালু তুলছেন না। তাছাড়া বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের। আর সরকারি কাজে কোন অনুমোদন নিতে হয়না। তবে বালু তোলা বা আনলোড করতে কাউকে অনুমতি দেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।


     এই বিভাগের আরো খবর