,

১৭৭ দিন কারান্তরীন রাখার পরআজ মঙ্গল বার গউছকে হবিগঞ্জ কোর্টে আনা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক নাগাড়ে ১৭৭ দিন কারান্তরীন রাখার পর আজ মঙ্গলবার হবিগঞ্জ কোর্টে আনা হচ্ছে হবিগঞ্জ পৌরসভার সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছকে। সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যাকান্ডের বিস্ফোরক মামলায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক নিশাত সুলতানার আদালতে তাকে হাজির করা হবে। কিবরিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় একই সাথে একটি হত্যা মামলা এবং একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন বিস্ফোরক মামলার কোনো হদিসই পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে বিস্ফোরক মামলাটিও পুনরুজ্জীবিত করা হয়। এই মামলায় মেয়র জি কে গউছকে শোন এ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। এদিকে ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পন করার পর মামলার নিয়মিত প্রায় ১০টি তারিখ অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু কোনো তারিখেই তাকে হবিগঞ্জ কোর্টে হাজির করা হয়নি। উপরন্ত যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই দুই মেয়াদে ৩৩ দিন আলহাজ্ব জি কে গউছকে মৌলভীবাজার কারাগারে অন্তরীন রাখা হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারী। ২০০৫ সালের ৬ জানুয়ারী হতে ৯ ফেব্র“য়ারী পর্যন্ত আলহাজ্ব জি কে গউছ ৩৩ দিন তার বৃদ্ধ পিতাকে নিয়ে সৌদী আরবে পবিত্র হজ্জ পালনে ছিলেন। একই বছরের ১৯ মার্চ কিবরিয়া হত্যা মামলায় ১০ জনকে আসামী করে ১ম চার্জশীট দাখিল করা হয়। বাদী পরে নারাজীর প্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম দীর্ঘদিন স্থগিত থাকে। পরে তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নির্দেশে মামলার অধিকতর তদন্ত হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে আওয়ামীলীগের আমলে ২০১১ সারের ২০ জুন তারিখে পূর্বের ১০ জনের অতিরিক্ত আরও ১৬ জনসহ মোট ২৬ জনকে আসামী করে সম্পুরক চার্জশীট দাখিল করেন। কিন্তু বাদীর নারাজীর প্রেক্ষিতে তৃতীয় দফা চার্জশীট দাখিল করা হয় ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর। এ পর্যায়ে ২৪ জনের বাহিরে আরও ১১জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৩৫ জনকে আসামী ৩য় দফা চার্জশীট দাখিল করা হয়। ৩৫ জনের মধ্যে ২ জনের সঠিক নাম ঠিকানাই পাওয়া যায়নি। ১জন ভারতে মারা যান। ৩য় চার্জশীটে আলহাজ্ব জি কে গউছকে সম্পৃক্ত করা হয়। সেই চার্জশীটটি ভুলে ভরা হওয়ায় ৪র্থ এবং পরবর্তীতে ৫ম সম্পুরক চার্জশীট দাখিল করা হয়। চার্জশীট গৃহীত হলে কাল বিলম্ব না করে ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ কোর্টে স্বেচ্ছায় আত্বসমর্পন করেন মেয়র আলহাজ্জ জি কে গউছ। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে কিবরিয়া হত্যা মামলায় প্রায় ১০টি তারিখ অতিবাহিত হয়। কিন্তু কোনো তারিখেই আলহাজ্ব জি কে গউছকে কোর্টে উপস্থাপন করা হয়নি। তবে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই ১০ ফেব্র“য়ারী হতে ১৬ ফেব্র“য়ারী এবং ১৮ ফেব্র“য়ারী হতে ১৫ মার্চ মোট ৩৩ দিন আলহাজ্ব জি কে গউছকে মৌলভীবাজার কারাগারে অন্তরীন করে রাখা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর